অবিশ্বাস্য একটা পরাজয় দেখলো পাকিস্তান, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে স্রেফ ১১৯ রানে গুটিয়ে দিয়েও জিততে পারলো না তাঁরা। শেষ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করা সত্ত্বেও নির্ধারিত লক্ষ্যের ছয় রানে দূরে থেমে যেতে হয়েছে তাঁদের। আর এমন দিনে কাঠগড়ায় দলটির মিডল অর্ডার। শুরুর দিকে বেশ ভাল অবস্থানে থাকা সত্ত্বেও মিডল অর্ডার ব্যাটারদের কারণেই এই পরাজয়।
অবশ্য ব্যাটারদের দোষ দিয়ে কি হবে, ক্রিকেটীয় ব্যাকরণে মিডল অর্ডার ব্যাটার বলতে যা বোঝায় সেটাই তো নেই বাবর আজমদের একাদশে। দলটির চার, পাঁচ কিংবা ছয় নাম্বারে যারা ব্যাট করেন তাঁরা কেউই আদৌ মিডল অর্ডারের ব্যাটার নন।
ফখর জামানের কথাই ধরা যাক, ওপেনার পরিচয়ে লম্বা একটা সময় খেলেছেন। কিন্তু টিম কম্বিনেশনের স্বার্থে চিরচেনা পজিশন ছেড়ে চারে খেলতে হচ্ছে তাঁকে। পারফরম যেমনই হোক তাঁর, একজন ওপেনারকে নিচের দিকে খেলানোর কারণে কিছুটা হলেও ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে পাকিস্তানকে।
ফখর অবশ্য টুকটাক রান পাচ্ছেন, কিন্তু বাকিদের ফর্ম বিভীষিকাময় বটে – একজন ইফতেখার আহমেদ যিনি সবশেষ কবে রান করেছেন নিজেই বোধহয় ভুলে গিয়েছেন, ভারতের বিপক্ষেও নায়ক হওয়ার সুযোগ ছিল তাঁর সামনে, অথচ অসহায় আত্মসমর্পণ করলেন তিনি। আরেকজন আজম খান, অভিষেকের পর থেকেই ছন্দ হারিয়ে বসে আছেন।
দূরাবস্থা থেকে বাঁচতে শাদাব খানকে সুযোগ দেয়া হয়েছে মিডল অর্ডারে। কিন্তু তিনি একজন বোলিং অলরাউন্ডার, তাই দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হওয়া সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে। আর অবসর ফেরত ইমাদ ওয়াসিম শোকে কাতর সমর্থকদের পাথর করে দিয়েছেন! ভারতের বিপক্ষে ২৩ বলে ১৫ রান করে তিনি আসলে পরাজয়কে ত্বরান্বিত করেছিলেন।
নিউইয়র্কের পেস স্বর্গ হয়ে উঠা উইকেটে শক্তপোক্ত মিডল অর্ডারের কোন বিকল্প নেই। অথচ পাকিস্তান কি না বিশ্ব মঞ্চে এসেছে জোড়া তালি দেয়া একটা মিডল অর্ডার নিয়ে। হতশ্রী ফলাফল তাই অনুমেয়-ই বটে, আর দ্রুত এর সমাধান খুঁজে না পেলে আগামী টুর্নামেন্ট গুলোতেও নিশ্চিতভাবে সমস্যায় পড়বে তাঁরা।