কেউ কেউ বলেন, বিশ্বকাপের আগে দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোন প্রয়োজনই নেই। এসময় উচিৎ জয়ের দিকে মনোনিবেশ করা। অথচ, সেই ভুল কাজটাই বারবার করছে পাকিস্তান।
চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) কারণে প্রথম সারির ৯জন খেলোয়াড়কে ছাড়াই পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে নিউজিল্যান্ড। সেই সিরিজে বাবর আজম অধিনায়ক হয়ে ফেরার পরও পাকিস্তান ২-২ ব্যবধানে সমতায় থেকে শেষ করেছে সিরিজ।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগেই পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম বলেছিলেন, বিশ্বকাপের জন্য সেরা দল বাছাই করতে দ্বিপাক্ষীক সিরিজে বেঞ্চের পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা হবে।
কিন্তু বিশ্বকাপের আগে এসব পরীক্ষা-নিরিক্ষা বন্ধ করে পাকিস্তানকে জয়ের দিকে মনোনিবেশ করতে বললেন রাজা। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে রাজা বলেন, ‘কোথায় এমন লেখা আছে, বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে ম্যাচ হারতে হবে। আপনারা কি করতে চাইছেন আমি বুঝতে পারছি না। নিয়মিত হারতে থাকলে আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরবে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণে ধ্বংসের মুখে পড়তে হবে।’
পাকিস্তান ক্রিকেট এখন অধ:পতনের দিকে। দাবি রমিজ রাজার। তিনি বলেন, আমাদের সাদা বলের দলটি ভালো ছিলো। কিন্তু নতুন অধিনায়ক আসায় তাদের পজিশন পরিবর্তন হয়েছে। বড় খেলোয়াড়দের বেঞ্চে রাখা হচ্ছে, আবার অন্যদের খেলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’
রমিজ রাজা দোষ দেখছেন কোচিং প্যানেলেরও। তিনি বলেন, ‘ডাগআউটে যারা আছে তারা ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হবার চেষ্টা করছে। তারা অনেক বিভ্রান্তির মধ্যে আছে। বিশ্বকাপের আগে কেন পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন, তা আমি বুঝতে পারছি না।’
বিশ্বকাপের আগ মুর্হূতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২২ মে থেকে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারনে ইংল্যান্ডের কাছে পাকিস্তান হারতে পারে কিনা, এমন প্রশ্ন নিজেই তুলে ধরেন রাজা।
তিনি বলেন, ‘আপনাকে এমন একটি দল তৈরি করতে হবে, যারা লড়াই করতে পারবে। আপনি প্রতিভার উপর নির্ভর করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ম্যাচ হারাতে পারেন না। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যেতেই পারে কিন্তু দ্বিতীয় সারির নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে ম্যাচ হারাতে পারেন না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে হেরে, পাকিস্তান কি ভারতকে হারাতে নিউ ইয়র্ক যাবে? হারের ফলে ঐ সময় চাপে থাকতে হবে। এজন্য জয়ের প্রতিই মনোনিবেশ করা উচিত পাকিস্তানের।’