প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসলে যেকোন দলের লক্ষ্যই থাকে ক্রিকেটবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করা; অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী কোন দলকে হারিয়ে চমক উপহার দেয়া। আর এক্ষেত্রে সব দলের পছন্দের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে পাকিস্তান, কারণ প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসলে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পাওয়া যায়!
বিস্ময়কর বটে, তবে অবিশ্বাস করার সুযোগ নেই। এইতো যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের ‘বিশ্বকাপ’ উপন্যাস শুরু করলো ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে, আর প্রথমবারের উপন্যাসে যোগ হলো ‘পাকিস্তান বধ’ অধ্যায়। রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচ সুপার ওভারে গড়িয়েছিল, সেখানেই বাবর আজমের দলকে পাঁচ রানে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিল দলটি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ের কথা অন্তত সবারি মনে থাকার কথা। ১৯৯৯ সালে আকরাম খান, খালেদ মাহমুদ সুজনরা কি চমকটাই দিয়েছিলেন তৎকালীন পরাশক্তি হয়ে উঠা ওয়াসিম আকরামদের পাকিস্তানকে। সুজনের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের কল্যাণে ৬২ রানের সুমিষ্ট জয় পেয়েছিল টাইগাররা।
সেই জয়ের পঁচিশ বছর কেটে গেলেও এখনো স্বাদ ভোলা যায়নি। পাকিস্তানও নিশ্চয়ই ভুলতে পারেনি বেদনাবিধুর সেই পরাজয়ের কথা, ভুলবেই বা কিভাবে বছর আট পরেই আয়ারল্যান্ড আবার মনে করিয়ে দিয়েছিল অঘটনের কথা।
২০০৭ বিশ্বকাপ দিয়ে প্রথম বিশ্ব মঞ্চে আগমন ঘটেছিল আইরিশদের, আর সেই টুর্নামেন্টে আবারো পাকিস্তানকে লজ্জায় ডুবিয়েছিল তাঁরা। লো স্কোরিং ম্যাচে নেইল ও’ব্রায়েনের অসাধারণ পারফরম্যান্সের বদৌলতে তিন উইকেটে হারতে হয়েছিল ইনজামাম উল হকদের।
পাকিস্তানকে বলা হয় ক্রিকেটের অননুমেয় দল। কখনো হিসেবে না থেকেই শিরোপা জিতে নেয় তাঁরা, কখনো আবার নবাগত দলের কাছে খুইয়ে বসে মানসম্মান। তিন তিনবার ঘটলো এমন ঘটনা, এবার অন্তত এমন পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করা উচিত তাঁদের।