একটা সময় পাকিস্তানের বোলিং মানেই ছিল আগুন। এখন সেটার জায়গায় ধোঁয়া আছে, তাও অনেকটাই ফ্যাকাসে। ব্যাটাররা ভয় দেখানো তো দূরে থাক, নিজেরাই আতঙ্কে থাকে প্রায়। কাল ভদ্রে একটা দুইটা ম্যাচ জিতে যায়। তবে, পাকিস্তানের ফিল্ডিংটা চিরায়ত! সেটা আগের মতোই আছে। মানে, আগের মতোই খারাপ। না, ভুল বলা হল – সময়ে সাথে সাথে আরও অধপতন ঘটেছে।
তিনটা বাউন্ডারি এমন ছিল যেখান থেকে কোনো রানই হওয়ার কথা নয়। কিন্তু, পাকিস্তানের সো-কল্ড বিশ্বসেরা ফিল্ডাররা সেটা মিস করেছে। সেই মিসটা এতই বাজ যে, ম্যাচটা কোনো ভাবে হেরে গেলে – সেসব নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠত।

মিড অনে, ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে কিংবা উইকেটের পেছন থেকে ১২ টা রান কমতে পারত পাকিস্তানের। কখনও শাদাব খান, কখনও আব্বাস আফ্রিদি – সবাই একের পর এক ফিল্ডিং মিস করেছেন। দু’টো ডেলিভারিতে যেখানে সিঙ্গেল পেলেই সন্তুষ্ট থাকার কথা, সেখানেও চার হয়েছে। মানে আরও ছয়টা রান চলে গেল অতিরিক্ত খাতে।
এরপর দু’টো রান আউট মিস তো আছেই। পাকিস্তানের ফিল্ডিং ব্যর্থতার এমন হাজারও নজীর চলে গেছে ইতিহাসের পাতায়। সেই যাত্রায় নতুন এক অধ্যায়ই রচিত হয়ে গেল নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে।

পাকিস্তানের ফিল্ডিংয়ের জন্য একটা কথাই খাটে — ‘ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট।’ ফিল্ডিং মিস পাকিস্তানের জন্য সত্যিই পার্মানেন্ট!










