বাবরসহ বছরজুড়ে ব্যর্থ যারা!

ব্যক্তিগত খাতার পাতায় কারও পারফরম্যান্স ছিল আলো ঝলমলে, তো কারও দিগন্তজুড়ে কেবল হতাশার ছায়া। যাদের ব্যাটে-বলে সাড়া মেলেনি প্রত্যাশার। নতুন বছরের বিশ্বকাপ মিশনের আগে তাই এই ব্যর্থতার গল্পগুলোই হয়ে উঠছে সতর্কতার ঘণ্টাধ্বনি।

টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান ২০২৫ সালটা শেষ করেছে হাসিমুখ নিয়েই। বছরজুড়ে যতসব ভুল, যত ভাঙাচোরা ক্ষত, শেষ সন্ধ্যায় সবই ঢেকে গেছে ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের কারণে। ব্যক্তিগত খাতার পাতায় কারও পারফরম্যান্স ছিল আলো ঝলমলে, তো কারও দিগন্তজুড়ে কেবল হতাশার ছায়া। যাদের ব্যাটে-বলে সাড়া মেলেনি প্রত্যাশার। নতুন বছরের বিশ্বকাপ মিশনের আগে তাই এই ব্যর্থতার গল্পগুলোই হয়ে উঠছে সতর্কতার ঘণ্টাধ্বনি।

  • বাবর আজম

বছরের শুরুতে বাদ পড়া, দীর্ঘ অপেক্ষা, তারপর এশিয়া কাপ ব্যর্থতার পর পুনরায় দলে ফেরা, সবকিছুই যেন প্রস্তুত ছিল অন্য এক বাবরের পুনর্জন্মের জন্য। কিন্তু মাঠে নামতেই ফিরে এল সেই পুরোনো সমস্যা। আট ম্যাচে মাত্র ২০৬ রান! গড় ৩৪ হলেও স্ট্রাইক রেট ১১৪, যেন নিজেরই ছায়া হয়ে থাকা।
ফ্ল্যাট পাকিস্তানি উইকেটে খেলেও ব্যাটে জ্বলে উঠল না প্রয়োজনীয় আগুন। বিশ্বকাপের আগে যা বাড়াচ্ছে দুশ্চিন্তা।

  • সালমান আলী আঘা

দুটি ত্রিদেশীয় সিরিজে শিরোপা এনে দেওয়া অধিনায়ক সালমান আলী আঘা ২০২৫–এর সবচেয়ে সফল নেতা এটা নিঃসন্দেহে সত্য। কিন্তু ব্যাট হাতে? সেখানেই গল্প পাল্টে যায় পুরোপুরি। ৩৪ ম্যাচে ৬২৫ রান। সংখ্যাটা মন্দ না হলেও সমস্যা ছিল ভিন্ন জায়গায়। স্ট্রাইক রেট যে মাত্র ১১৫! মিডল ওভারগুলোতে পাকিস্তানের গতি থেমে গেছে বারবার। অধিনায়কত্বই তাকে দলে অপরিহার্য করেছে, তবে বছরজুড়ে শুধু ব্যাটার সালমান থাকতেন তীব্র প্রশ্নবোধকের সামনে।

  • সায়িম আইয়ুব

অভিষেকের পর থেকেই পাকিস্তান ক্রিকেটে বড় নামের তকমা পেয়েছেন সায়িম আইয়ুব। কিন্তু ২০২৫ তার জন্য নির্মম সত্যের বছর। ব্যাট হাতে যেন এক নিভে যাওয়া আগুনের গল্প হয়ে থাকলেন। ২৯ ম্যাচে ১২৯ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৫৮১ রান। নামের পাশে চারটি ফিফটি আছে বটে কিন্তু তার চেয়েও বেশি ছিল ডাক, ব্যর্থতা আর হারানো আত্মবিশ্বাসের গল্প। বোলিংয়ে উন্নতি চোখে পড়লেও ওপেনার সায়িমের মূল কাজটি ইনিংসের শুরুতে ঝড় তোলা, সেটি তিনি করতে পারেননি।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link