১২৯ রান তাড়া করতে গিয়ে সেঞ্চুরি? অবাস্তবই বটে! কিন্তু টিম সেইফার্ট যা করলেন, সেটাও কম কিছু নয়। মাত্র ৩৮ বলে ৯৭ রান! স্ট্রাইক রেট ২৫৫!
দুই রান বাকি ছিল শতকে পৌঁছানোর। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল মাত্র একটা শট! ম্যাচ শেষ, আর সেইফার্টও থেকে গেলেন তিন অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই। এটা কি ব্যাটসম্যানের দোষ? নাকি ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা?
তবে তাঁর ইনিংসটা যে রূপকথার চেয়ে কম কিছু নয়! ১০ টা ছক্কা, ছয় টা চার—মানে বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারিতেই তুলে নিয়েছেন ৮৪ রান! এমন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সুবাদেই মাত্র ১০ ওভারে জয় নিশ্চিত করে নিউজিল্যান্ড।
এক সুফিয়ান মুকিম বাদে বাকি পাকিস্তানি বোলারদের বলার কোনো কিছু ছিল না সেইফার্টের সামনে। জাহানদাদ খান, মোহাম্মদ আলী, হারিস রউফ কিংবা শাদাব খান – কেউই সেইফার্টের সামনে টিকতে পারননি।
সেঞ্চুরি না পাওয়াটা অন্যায় মনে হতেই পারে, কিন্তু সেইফার্ট যা করেছেন, তাতে তাঁর নামটাও লেখা হয়ে গেছে ওয়েলিংটনের বাতাসে! পাকিস্তানও নিশ্চয়ই সেইফার্টের এই তাণ্ডব মনে রাখবে অনেকদিন।