ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিশ্চয় ভাবছে, এই ম্যাচটা কিভাবে হারল! শুরুটা দারুণ হয়েছিল অ্যালিক অ্যাথানেজের ব্যাটে, পাওয়ারপ্লেতে বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলেছিলেন। দুই ব্যাটার ফিফটির ওপরে রান করেছিলেন, তাও ভালো স্ট্রাইক রেটেই, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৩ রানে হেরে বসলো তাঁরা। বাংলাদেশ সফরের দু:স্বপ্ন কাটিয়ে সিরিজ জিতল পাকিস্তান।
ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। শাহিবজাদা ফারহান আর সায়িম আইয়ুব — দারুণ সূচনা এনে দেন, দুজনই ফিফটি করেন। এই জুটি প্রথম উইকেটে তোলে ১৩৮ রান, আর সেটাই ছিল বড় স্কোরের ভিত, ম্যাচের ভাগ্য নিয়ন্ত্রক। যদিও, স্কোরটা আরও ২০ রান বেশি হতেই পারত।
ফারহান ছিলেন আগ্রাসী, অন্যদিকে আইয়ুব পাওয়ারপ্লেতে একটু সময় নিয়ে খেলেন। তবে মাঝের ওভারগুলোতে দুজনেই গতি বাড়ান, এবং রানরেট ৮-এর নিচে নামতে দেননি একবারও। জুটি ভাঙার পর বাকিদের ছোট ছোট ইনিংস আসে, আর তাতেই স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ১৮৯-এ।
জবাব দিতে নেমে ক্যারিবিয়ানদের দুই ওপেনার অ্যাথানেজ আর জুয়েল অ্যান্ড্রু দারুণ শুরু এনে দেন — প্রথম ছয় ওভারে রান তুলে ফেলেন ৫৯ রান, এক উইকেট হারিয়ে। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে আবারও ধাক্কা খায় দলটা, বিশেষ করে স্পিনারদের সামনে। সুফিয়ান মুকিম দুর্দান্ত বল করেন, বাঁহাতি লেগস্পিনার ৪ ওভারে দেন মাত্র ২০ রান, পান ১ উইকেট — মূল পার্থক্যটা সেখানেই।
শেরফান রাদারফোর্ড শেষ পর্যন্ত লড়াই করেন। তবে, ৩২ বলে ফিফটি করেও দলকে জেতাতে পারেননি। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের চমৎকার সুযোগ ছিল, যেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিততে পারেনি।