প্রবল প্রতাপে ছুটছে পাকিস্তান

নামিবিয়াকে ৪৫ রানে হারিয়ে টানা চার জয়ে ‘বি’ গ্রুপের প্রথম দল হিসেবে সেমির টিকেট নিশ্চিত করলো পাকিস্তান। টানা দুই হারে টুর্নামেন্টে অনেকটাই ছিটকে গেছে এবারের আসরে চমক দেখানো নামিবিয়া।

১৯০ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুতেই আউট মাইকেল ভ্যান লিগেন। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে স্টিফেন বার্ডের সাথে জুটি গড়েন ক্রেইগ উইলিয়ামস। দু’জনে মিলে ৪৭ রানের জুটির পথে রান আউটের ফাঁদে আউট হন বার্ড। ১০ ওভারে নামিবিয়ার সংগ্রহ তখন ২ উইকেটে ৭০। শেষ ওভারে দরকার ১২০ রান!

দলীয় ৮৩ রানে ইরাসমাস ফেরেন ১০ বলে ১৫ রানে! এরপর একপ্রান্তে উইলিয়ামস বেশ দুর্দান্ত খেললেও শাদাব খানের শিকার হয়ে ফিরেন ৩৭ বলে ৪০ রানের ইনিংস শেষে। ৯৩ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে। ম্যাচ থেকে তখন প্রায় ছিটকে গেছে নামিবিয়া। বল আর রানের ব্যবধান বলে দিচ্ছিলো বড় ব্যবধানেই হারতে যাচ্ছে দলটি। শেষ পর্যন্ত ডেভিড উইসের ৩১ বলে ৪৩ রানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করতে সমর্থ হয় নামিবিয়া।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে অনেকটাই ধীরে গতিতে শুরু করে দুই পাকিস্তানি ওপেনার। অবশ্য ক্রেডিটটা নামিবিয়ার বোলারদেরই দিতে হয়। তাদের বোলিং দাপটে রান বের করতে ধুঁকতে হয় দুই ওপেনারকে। পাওয়াপ্লে শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিলো বিনা উইকেটে মাত্র ২৯!

তবে ওভার যতোই গড়িয়েছে ধীরে ধীরে হাত খুলতে থাকেন বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানরা। একপ্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাট করে বাবর তুলে নেন দুর্দান্ত এক ফিফটি। আরেকপ্রান্তে বাবরকে যোগ্য সমর্থনই দিচ্ছিলেন রিজওয়ান। দু’জনে ব্যাটিং নৈপুণ্যে বিনা উইকেটেই দলের রান একশো পার! একমাত্র জুটি হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাঁচবার সেঞ্চুরির জুটি রেকর্ড গড়েন দু’জনে।

এরপর অনেকটাই মারমুখি হয়ে খেলেন বাবর। নামিবিয়ার বোলাররা যেনো দমাতে পারছিলেন না এই দুই ওপেনারকে। এরপর দলীয় ১১৩ রানে ৪৯ বলে ৭ চারে ৭১ রানে আউট হন বাবর। ১১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর দলের সাথে ৯ রান যোগ করতেই ব্যক্তিগত ৫ রানে নামিবিয়ান উইকেটকিপার জ্যান গ্রিনের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরেন ফখর জামান। বাকি পথটা পাড়ি দেন রিজওয়ান ও মোহাম্মদ হাফিজ। শুরু থেকেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রান তুলতে থাকেন হাফিজ।

আরেকপ্রান্তে অসাধারণ ব্যাটিংয়ে রিজওয়ান তুলে নেন ব্যক্তিগত ফিফটি। এরপর ইনিংসের শেষ ওভারে রিজওয়ান তুলেন ২৪ রান! রিজওয়ানের হার না মানা ৫০ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৯ ও হাফিজের ১৬ বলে অপরাজিত ৩২ রানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

পাকিস্তান – ১৮৯/২ (২০ ওভার); রিজওয়ান ৭৯ (৫০)*, বাবর ৭০ (৪৯), হাফিজ ৩২ (১৬)*; ডেভিড উইসে ৪-০-৩০-১, জান ফ্রাইলিংক ৪-০-৩১-১।

নামিবিয়া – ১৪৪/৫ (২০ ওভার); উইসে ৪৩ (৩১)*, উইলিয়ামস ৪০ (৩৭), বার্ড ২৯ (২৯), ইরাসমাস ১৫ (১০); রউফ ৪-০-২৫-১, ইমাদ ৩-০-১৭-১, হাসান আলী ৪-০-২২-১, শাদাব ৪-০-৩৫-১।

ফলাফল: পাকিস্তান ৪৫ রানে জয়ী।

ম্যাচ সেরা: মোহাম্মদ রিজওয়ান (পাকিস্তান)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link