বোলারদের কল্যাণে পাকিস্তানের দাপুটে শুরু!

আরও এক একপেশে ম্যাচ, ওমানকে স্রেফ উড়িয়ে দিল পাকিস্তান। ৯৩ রানের জয় নিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তা দেখালো সালমান আলীর দল। 

আরও এক একপেশে ম্যাচ, ওমানকে স্রেফ উড়িয়ে দিল পাকিস্তান। ৯৩ রানের জয় নিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তা দেখাল সালমান আলীর দল।

এদিন টসে জিতে খানিকটা স্রোতের বিপরীতে গিয়ে ব্যাটিং বেছে নেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আঘা। লক্ষ্যটা একেবারেই পরিষ্কার, ভারত মহারণের আগে ব্যাটারদের ঝালিয়ে নেওয়া।

তবে শুরুটা মোটেও ভালো হলো না তাঁদের। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সায়িম আইয়ুব। এরপর অবশ্য শাহিবজাদা ফারহান এবং মোহাম্মদ হারিস মিলে খুব বেশি বিপদ ঘটতে দেননি। তাঁদের ব্যাট থেকে আসে ৮৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি।

পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে স্বস্তির বিষয় বোধহয় মোহাম্মদ হারিসের ফর্মে ফেরাটা। ৪৩ বল থেকে করেন ৬৬ রান। যদিও বেশ কিছুদিন ধরে বনে গিয়েছিলেন মিডল অর্ডার ব্যাটার। তবে আজ নিজের জায়গা ফিরে পেয়েই ঝলক দেখালেন।

ক্যাপ্টেন সালমান আলী আঘা এদিন অবশ্য রানের খাতা খুলতে পারেননি। হাসান ও নাওয়াজও মাঝের সময়টাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফখর জামানের ২৩ এবং শেষদিকে মোহাম্মদ নাওয়াজের ১৯ রানে ভর করে পাকিস্তান স্কোরবোর্ডে তোলে সাত উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান।

এক্ষেত্রে ওমানের বোলারদের প্রশংসা করতেই হয়। পুরো সময়জুড়ে নিজেদের সাধ্যমতো লড়াই করে গেছে তারা। পাকিস্তান আরও ২০–৩০ যোগ করতেই পারত স্কোরবোর্ডে। তবে আমির কালিম এবং শাহ ফয়সালের দৃঢ়তায় শেষমেশ তা আর হয়ে ওঠেনি। দুজনেই শিকার করেছেন তিনটি করে উইকেট।

১৬১ রানের লক্ষ্যটা যে ওমানের সামনে পাহাড়সম টার্গেট। পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের বিপরীতে এই রান তাড়া করতে হলে যে অবিশ্বাস্য কিছু করতে হতো তাদের। তবে সেটা অবশ্য হয়ে ওঠেনি।

দুই রানের মাথায় উইকেটের পতন ঘটে। সায়িম আইয়ুবের শিকার হয়ে ফিরে যান যতিন্দর সিং। আরেক ওপেনার আমির কালিমও খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৩ রান করেই ফিরতে হয় তাঁকে। পাওয়ার প্লে শেষে ওমানের সংগ্রহ দাঁড়ায় দুই উইকেট হারিয়ে ৪০ রান।

এরপর থেকেই মূলত ছন্দপতনের শুরু। পরের সময়টাতে ২৭ রান যোগ করতে আরও আট উইকেট হারায় তারা। বল হাতে সায়িম আইয়ুব, ফাহিম আশরাফ এবং সুফিয়ান মুকিম নেন দুটি করে উইকেট। শেষ পর্যন্ত ওমানের ইনিংস শেষ হয় ৬৭ রানে।

পাকিস্তান একপ্রকার নিজেদের প্রস্তুতি সেরেছে। পরের ম্যাচটা যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে। এই ম্যাচেও কি নিজেদের শক্তির প্রমাণ দিতে পারবে সালমানের দল? অপেক্ষাটা এখন সেটা দেখার।

 

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link