পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) অবশেষে সবুজ সংকেত দিয়েছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বাদশ আসরে দেখা যাবে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। মোট ১০ জন খেলোয়াড়কে এনওসি দিয়েছে পিসিবি। তবে শর্ত অনুযায়ী, তারা ২৩ জানুয়ারি পর্যন্তই বিপিএলে খেলতে পারবেন।
এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত নাম হায়দার আলী। সেপ্টেম্বরে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ও তদন্তের মুখে পড়ায় তাকে সাময়িক নিষিদ্ধ করেছিল পিসিবি। পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকায় ২৫ সেপ্টেম্বর মামলা খারিজ করে দেয়া হয়।
মামলার চাপ কেটে যাওয়ায় ও পিসিবির নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় বিপিএলে খেলতে আর কোনো বাধা নেই এই পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক–ব্যাটারের। বিপিএলের নতুন দল নোয়াখালী এক্সপ্রেস নিলাম থেকে ২৫ হাজার ডলারে তাকে দলে ভিড়িয়েছে।

হায়দার ছাড়াও এনওসি পেয়েছেন আরও কয়েকজন পাকিস্তানি তারকা— মোহাম্মদ নওয়াজ, আবরার আহমেদ, সাহিবজাদা ফারহান, ফাহিম আশরাফ, হুসাইন তালাত, খাজা নাফে ও মোহাম্মদ ইহসানউল্লাহ। বরাবরের মত এবারও বিপিএলের দলগুলোতে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের প্রাধান্যই বেশি।
গত জুলাইয়ে ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে পাকিস্তান শাহিনসের হয়ে খেলতে থাকা অবস্থায় পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ তরুণী হায়দার আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে, জামিন দিলেও ম্যানচেস্টার ছাড়তে নিষেধাজ্ঞা ছিল। অভিযোগ আমলে নিয়ে পিসিবি তাকে সাময়িক বরখাস্তও করেছিল।
অবশেষে বিস্তারিত তদন্তের পর অভিযোগ বাতিল করা হয়। প্রায় আড়াই মাস প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন হায়দার। এবার এনওসি পাওয়ায় নিশ্চিত হল – নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে, বিপিএলে ফিরতে কোনো বাঁধা নেই।











