ডিগবাজিতে পান্তের সেঞ্চুরি উদযাপন

একটা ব্যাডপ্যাচ দিয়ে অন্তত তাকে বিচার করা হবে বোকামি। তিনি বাইশ গজে দাঁড়িয়ে গেলে বিনোদনের অভাব হয় না দিনশেষে। 

চার হাঁকালেন, এরপর একটা ডিগবাজি খেলেন। তারপর দু’হাত প্রশারিত করে চোখজোড়া বন্ধ করে উপলব্ধি করতে চাইলেন শতকের মাহাত্ম্য। তিরস্কারের ঘোর কাটিয়ে অবশেষে ঋষাভ পান্তের ব্যাট হেসে উঠল। কিন্তু ব্যক্তিগত এই অর্জন যে দলের জন্যে নিরর্থক।

আফসোস বাড়ানো ছাড়া দ্বিতীয় আর কিছুই মিলল না ঋষাভ পান্তের কাছ থেকে। শেষ বেলায় তার জ্বলে ওঠা যেন কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা। লখনৌ সুপার জায়ান্টস যে প্রত্যাশা নিয়ে তাকে বানিয়েছিল ইতিহাসের অংশ, সেই আশার গুড়ে বালি ছড়িয়েছেন ঋষাভ নিজ হাতে।

একেবারেই অগুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচে ঋষাভ দেখালেন নিজের সামর্থ্যের ঝলক। সেই চিরচেনা ঋষাভ পান্ত ফিরে এলেন যেন। কিন্তু অন্তিম লগ্নে খুব একটা অর্থবহ হল না তার শতক। কিন্তু খানিক আত্মবিশ্বাস অন্তত ফিরে পেলেন পান্ত।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু জন্যে অবশ্য ম্যাচটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। জিততে পারলে ওঠা যাবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুইয়ে। এমন ম্যাচে কোন প্রকার ছাড় দেওয়ার নিয়ত থাকার কথা নয় ব্যাঙ্গালুরুর বোলারদের। তবুও ঋষাভের সামনে সবাই যেন অসহায়। ফর্মে থাকা ঋষাভ ঠিক এতটাই ভয়ংকর।

১৩ ম্যাচের ১২ ইনিংসে ব্যাট করে স্রেফ ১৫১ রান নিতে পেরেছিলেন তিনি। এতটা দুর্বস্থা ঋষাভের হবে- সেটাও কেউ যেন ভাবতে পারেনি। সম্ভবত সেই ২৭ কোটি রুপির প্রাইজ ট্যাগ তাকে ফেলে দিয়েছিল দারুণ মানসিক চাপে। সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে উঠতে টুর্নামেন্টই পৌঁছে গেছে গোধুলী লগ্নে।

কিন্তু ঋষাভ অন্তত একটা বার্তা দিয়ে রাখলেন। ২৭ কোটি রুপি মোটেও নয় বাড়াবাড়ি। তার সামর্থ্য আছে, সক্ষমতা আছে- একা হাতে এখনও ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার পেশিশক্তিও আছে। একটা ব্যাডপ্যাচ দিয়ে অন্তত তাকে বিচার করা হবে বোকামি। তিনি বাইশ গজে দাঁড়িয়ে গেলে বিনোদনের অভাব হয় না দিনশেষে।

Share via
Copy link