গাভাস্কারকে মিমিক্রি করার চেষ্টা পান্তের

ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় পান্তের এমন শট খেলা নিয়ে সেসময় বেশ রাগান্বিত হয়েছিলেন গাভাস্কর। তিনবার স্টুপিড বলার পর তিনি বলেন, ‘ওখানে দুইজন ফিল্ডার আছে, তোমার ওখানেই খেলতে হবে? আগের বার এই শট খেলতে গিয়ে মিস করেছিলে, এখন দেখো কিভাবে আউট হয়েছো। তুমি নিজের উইকেট দিয়ে এসেছো; তুমি এভাবেই খেলো এটা বলতে পারো না। আমি দুঃখিত এটা স্রেফ একটা স্টুপিড শট ছিল।’

স্টুপিড, একবার না তিনবার বললেন ঋষাভ পান্ত। তাও আবার খোদ সুনীল গাভাস্কারকে। মুখ ফসকে বলা নয়, রীতিমত আয়োজন করে অনেকবার অনুশীলন করে বললেন।

রাগে গজগজ করছেন তিনি। ভ্রু কুঁচকে গেছে, কণ্ঠে নাটকীয়তার ছোঁয়া। আর বিভ্রান্তের মত তাকিয়ে আছেন সুনীল গাভাস্কার। ঘটনার সূত্রপাত আসলে একটা বিজ্ঞাপনচিত্রের অংশে।

কিন্তু ঘটনা তো নতুন নয়! টাইম মেশিনে চড়ে ফিরতে হবে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির সেই সন্ধ্যায়, যখন থার্ড ম্যান অঞ্চলে অযথা শট খেলে আউট হয়েছিলেন তিনি। তখন ধারাভাষ্যকক্ষে থাকা সুনীল গাভাস্কার ক্ষোভে ফেটে পড়ে বলেছিলেন — ‘স্টুপিড! স্টুপিড! স্টুপিড!’ বাকিটুকু ইতিহাস!

গাভাস্কারের সেই কঠিন বাক্যবাণ পান্তের কানে পৌঁছেছিল পরে। কিন্তু তিনি তো সহজে দমে যাওয়ার ছেলে নন! বরং পুরো ব্যাপারটাই নিয়ে নিলেন হালকাভাবে। আর তাই আইপিএল ২০২৫-এর আগে এক বিজ্ঞাপনী চিত্রে এবার তিনি নিজেই হয়ে গেলেন ধারাভাষ্যকার, নকল করলেন গাভাস্কারকে।

কপালে হাত, চোখে বিস্ময়! স্টুপিড বলে, টেবিলও চাপড়ে দিলেন।

সেদিন গাভাস্কার বলেছিলেন, ‘তুমি ওখানেই কেন খেলবে? দুইজন ফিল্ডার দাঁড়িয়ে আছে, তবুও? তুমি মিস করেছিলে, তুমি আউট হয়েছো! স্টুপিড শট! এটা স্রেফ একটা স্টুপিড শট!’

কিন্তু, গাভাস্কারের সেই সমালোচনায় কি কষ্ট পেয়েছিলেন তিনি? না, একটুও না! বরং এখন তাঁর ফোকাস লখনৌ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়কত্বে। মাঠে ফেরার অপেক্ষায় আছেন তিনি। এর মধ্যেই বিজ্ঞাপনের খাতিরে সুনীল গাভাস্কারের সাথে যোগ দিলেন।

বিজ্ঞাপন শেষে অবশ্য একজন আরেকজনকে জড়িয়েও ধরলেন। বোঝা গেল, ঋষাভ পান্ত যে শুধুই ক্রিকেটার নন—তিনি বিনোদনের আস্ত প্যাকেজ!

Share via
Copy link