পারভেজ ইমন, প্রত্যাশা পূরণের দুয়ারে দাঁড়িয়ে

করোনা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে একটা ঝড়ো সেঞ্চুরি, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশীদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা সেদিন নিজের করে নিয়েছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। মুহূর্তেই তাঁর ওপর প্রত্যাশার ভার বেড়ে গিয়েছিল কয়েক গুন, আর সেই ভারেই বোধহয় ক্রমাগত তলিয়ে গিয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটের সেরা পারফরমারদের তালিকায় তাঁকে খুব একটা পাওয়া যায়নি।

যদিও এই ব্যাটার বুঝতে শিখেছেন এবার, তাই তো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে নতুন করে চেনাতে চাইলেন নিজেকে। টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ এ দলের হয়ে একাই লড়াই করেছেন তিনি, মেলবোর্ন রেনিগেডসের বিপক্ষে প্রায় একাই প্রতিরোধ গড়েছিলেন।

এদিন ৪৮ বলে ৬৮ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলেছেন এই বাঁ-হাতি। প্রায় ১৪৫ স্টাইক রেটে ব্যাট করে তিনিই মূলত জয়ের পুঁজি এনে দিয়েছেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। ব্যাটিং বিপর্যয়ের মাঝে যেভাবে দায়িত্বশীলতার পরিচয় পাওয়া গিয়েছে তাঁর কাছ থেকে সেটা অনন্য। অবশ্য যুব বিশ্বকাপজয়ী সদস্যদের কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্স প্রত্যাশিত বটে।

তানজিদ হাসান তামিম, আকবর আলীরা এদিন উইকেটে সেট হয়েও বড় রান করতে পারেননি; বারবার ভুল শট খেলার মাশুল দিয়েছেন তাঁরা। ফলে উড়ন্ত শুরু পাওয়া সত্ত্বেও থমকে গিয়েছিল স্কোরবোর্ড; স্বাগতিক বোলাররাও আধিপত্য বাড়াতে শুরু করেছিল। তবে হাল ছাড়েননি ইমন, একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন, ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি তাঁর ধৈর্যের সাক্ষ্য দেয়।

অবশ্য মাইলফলক স্পর্শের পর ঠিকই হাত খুলে খেলেছেন তিনি; আউট হওয়ার ওভারেই আদায় করেছিলেন ১৮ রান – সবমিলিয়ে এবার অন্তত অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেলো তাঁকে।

বাংলাদেশ দলের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এ দল এবং এইচপি বিভাগের উপর; সেই বিবেচনায় মেলবোর্নের বিপক্ষে ব্যাটারদের পারফরম্যান্স হতাশই করবে টিম ম্যানেজম্যান্টকে। তবে এই তরুণ তারকা হতাশা কিছুটা হলেও লাঘব করেছেন; তাঁর মত একজন প্রতিভাবানের ফর্মে ফেরাটা অনেক জরুরি ছিল দেশের ক্রিকেটের জন্যই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link