একসাথেই জিতেছেন যুব বিশ্বকাপ, কিন্তু ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম যখন জাতীয় দলের রাডারে তখন আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে সুযোগ পাচ্ছেন না ঠিকঠাক, সুযোগ পেলেও আবার ধারাবাহিক পারফরম্যান্স নেই। তবে এবার বোধহয় সব বদনাম ঝেড়ে ফেলতে বদ্ধপরিকর তিনি, বাংলাদেশ এইচপি দলের হয়ে পর পর দুই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন।
টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাসমানিয়ার মুখোমুখি হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তিন নম্বরে নেমে এই বাঁ-হাতি খেলতে পেরেছেন ২৯ বল, আর এসময় করেছেন ৩৯ রান। সমান দুইটি করে চার ও ছয়ের মারে ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি।
আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিল দলকে, তাঁদের গড়ে দেয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে এই ব্যাটার রান তুলেছেন। আফিফ হোসেন, আকবর আলীদের ব্যর্থতা সত্ত্বেও স্কোরবোর্ডে লড়াকু পুঁজি জমা করতে পারার কৃতিত্ব তাঁর। এর আগের ম্যাচে মেলবোর্ন রেনিগেডসের বিপক্ষে বাকি ব্যাটাররা যখন ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হয়েছেন তখন তিনিই হাল ধরেছিলেনন, ৪৮ বলে ৬৯ রান করে হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা।
অবশ্য রান পেলেও পারভেজ ইমনকে নিয়ে সমালোচনার জায়গা রয়েছে। বাউন্ডারির সাহায্যে চার বলেই বিশ রান করেছেন তিনি। অর্থাৎ বাকি ১৯ রান করতে লেগেছে ২৫ বল।
তবু এই তরুণ খারাপ করেছেন সেটা বললে অন্যায় হবে, মূলত একজন টপ অর্ডার ব্যাটার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলে তাঁর ওপর প্রত্যাশা এবং দায়িত্ব দুই-ই বেড়ে যায়। যদিও এখনই হতাশ হওয়ার কিছু নেই, তিনি নিজেকে নিয়ে কাজ করার আরও সময় পাবেন নিশ্চয়ই। এমন ম্যাচ পরিস্থিতি পুনরায় সৃষ্টি হলে নিশ্চয়ই আরও ভালভাবে দায়িত্ব নিবেন তখন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ব্যাটাররা ধারাবাহিক রান করা শেখেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এসে; লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্তদের কয়েক বছর লেগেছে নিয়মিত রান পেতে। পারভেজ ইমন কিংবা তাঁর বর্তমান সতীর্থদের ক্ষেত্রে সেটা না হোক, এইচপি দল বা ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেই প্রতি ম্যাচে রান করার অভ্যাস গড়ে উঠুক তাঁদের।