বাংলাদেশ দলে মুস্তাফিজুর রহমানের জায়গা এখন নিশ্চিত নয়, বোলিংয়ে পুরনো ধার নেই। তবু এবারের আইপিএলে দারুণ পারফর্ম করছেন তিনি, তবে তাঁর ভাল পারফরম্যান্স সব এসেছে চেন্নাইয়ের পিচে। তাই তো ফ্ল্যাট উইকেটে কেমন করেন সেদিকেই তাকিয়ে ছিল সবাই – সেখানটায় হতাশই করলেন ফিজ।
সতীর্থ মাথিশা পাথিরানার সঙ্গে তুলনা করলেই বোঝা যায় কতটা নির্বিষ বোলিং করেছেন তিনি। পাথিরানা চার ওভার বল করে দিয়েছেন মাত্র ২৮ রান, অথচ তাঁর চার ওভার থেকে এসেছে ৫৫ রান; প্রায় দ্বিগুণ। উইকেট সংখ্যাতেও বিস্তর পার্থক্য, একজন পেয়েছেন চার উইকেট, আরেকজনের ঝুলিতে এসেছে কেবল একটি।
শুরুর ওভারটা অবশ্য মন্দ করেননি টাইগার পেসার। প্রথম বলেই রোহিত শর্মার কাছে চার হজম করার পরও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছিলেন বাকিটা সময়। সেই ওভারে আট রানের বেশি খরচ করতে হয়নি তাঁকে; তবে তাঁর পরের ওভারে আগ্রাসী হয়ে ওঠেন দুই মুম্বাই ওপেনার, এক ছয়ের সঙ্গে দু’টি চারও আদায় করেন তাঁরা। সবমিলিয়ে দুই ওভারে ২৩ রান খরচ করেন তিনি।
ঠিক উল্টো চিত্র ছিল লঙ্কান তরুণের বোলিংয়ে। নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই খেলার মোমেন্টাম বদলে দিয়েছেন তিনি। উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া ঈশান কিষাণের উইকেট তুলে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন দলকে; এক বল পরেই আবার আউট করেন ইনফর্ম সুরিয়া কুমারকে।
নিজের দ্বিতীয় ওভারেও পুনরায় তিলক ভার্মাকে শিকার করেন জুনিয়র মালিঙ্গা। অর্থাৎ যখনই চেন্নাই সুপার কিংস ব্যাক ফুটে চলে আসছিল তখনই তিনি ত্রাতা হয়ে এসেছিলেন।
ডেথ ওভারেও আলোচিত দু’জনের পারফরম্যান্সের পার্থক্য একই ছিল। মুস্তাফিজ দুই হাতে রান বিলিয়েছেন এদিন, সতেরোতম ওভারে উনিশ রান দিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের আশার প্রদীপও খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া পরের ওভারে ১৩ রান হজম করে বল হাতে হাফ-সেঞ্চুরির মাইল ফলক স্পর্শ করেছেন।
অন্যদিকে, পাথিরানা ডেথে সমান দুই ওভার বল করে দিয়েছেন ১৯ রান। বলা যায়, চেন্নাই বনাম মুম্বাই হাইভোল্টেজ ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ সেরার পুরষ্কার উঠেছে তাঁর হাতে।