কাঁটাতারের এপার ওপার গোলাবারুদের হুঙ্কার। প্রশান্তির ক্রিকেট ময়দান সেখানেও এবার হিংসার ভয়াল থাবা। প্রথমে পিছিয়ে গেল পাকিস্তান সুপার লিগের ম্যাচ। এরপর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচও থমকে গেল মাঝপথে। কারণ নিরাপত্তা ইস্যু।
ধর্মশালায় মুখোমুখি হয়েছিল পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালস। অদূরেই কোন্দলের বিষাক্ত হাওয়ার আনাগোনা। তবুও তার মাঝে দাঁড়িয়ে প্রিয়ানশ আরিয়া আর প্রাভসিমরান সিং শোনালের ক্রিকেটের জয়গান। ব্যাট হাতে ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ে খানিকক্ষণের জন্যে ভুলিয়ে দিয়েছিলেন বিদ্বেষের ভয়বহতা।
কিন্তু তা আর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। প্রিয়ানশ আরিয়া কেবলই ফিরলেন প্যাভিলিয়নে। মারকাটারি ইনিংস খেললেন তরুণ এই ব্যাটার। ৭০ রান করলেন তিনি দুইশো ছাড়ানো স্ট্রাইকরেটে। তিনি আউট হওয়ার পরই ম্যাচে নেমে এলো স্থবিরতা। মাঠের চারিদিকে নিজেদের উজাড় করা ফ্লাডলাইটগুলো বন্ধ হয়ে গেল।
নিখাদ বিনোদনের মাঝে খানিকটা বিরতি। অপেক্ষমান গোটা স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শকরা তখনও ম্যাচ শুরু হওয়ার অপেক্ষায়। কিন্তু সেই অন্ধকার আর কেটে গেল না। বিদ্বেষের ঘনকাল মেঘে ছেয়ে গেল পুরো স্টেডিয়াম।
সবাইকে বলা হল বাড়ি ফিরতে হবে, ক্রিকেটের উন্মাতাল ঢেউয়ে বারুদের বিষাক্ততা মিশে যাওয়ার শঙ্কা। শেষ অবধি সবাই বাড়ি ফিরলেন বিষন্ন বদনে, আর ভয়ার্ত মন নিয়ে।
এর আগে অবশ্য দু’দিন পরের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও পাঞ্জাব কিংসের ম্যাচের ভেন্যু পরিবর্তনের বার্তা এসেছিল। সবার আগে তো জীবন। বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই একদিন বিদ্বেষের মুখে ঝামা ঘষে আবারও মেতে ওঠা যাবে ক্রিকেটের রঙিন ভুবনে।