একটা ধারণা ছিল সবার মধ্যেই। পাকিস্তান ক্রিকেটে বিশাল সমস্যার উদ্রেক হতে চলেছে। দলের অন্দরমহলে হবে ব্যাপক কোন্দল। নষ্ট হবে ড্রেসিংরুমের পরিবেশ। কেননা বেশ অপ্রত্যাশিতভাবেই বাবর আজম ফিরেছিলেন অধিনায়ক হয়ে। যেমনটি ভাবা হয়েছিল, তেমনটি যে একেবারেই ঘটেনি তা কিন্তু নয়। খোদ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান দিয়েছেন তেমনই ইঙ্গিত।
মাত্র এক সিরিজ শেষেই শাহীন শাহ আফ্রিদির কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব। তবে তার আগে শাহিন বেশ কিছু খেলোয়াড়দের সাথে আলাপচারিতা চালিয়েছিলেন। মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিমদের মত খেলোয়াড়রা অবসর ভেঙে ফিরে আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সেখানেই আসলে শঙ্কার মেঘ ঘনিভূত হতে শুরু করে। সবাই ধরে নেয় কোন্দল হবে দলের মধ্যে। বাবর দ্বিতীয় দফা অধিনায়কের দায়িত্ব পালনের শুরুতে অন্দরমহলে ঝামেলাও হয়েছিল। দুই ভাই এক বাড়িতে থাকলেও তর্ক হয়। তেমনই এক উদাহরণ টেনে পিসিবি চেয়ারম্যান সে কথাই উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দেখুন, সব জায়গায় সমস্যা আছে। এক বাড়িতে দুই ভাই থাকলেও সমস্যায় পড়তে হয়। যদি আমরা বলি যে কোন সমস্যা নেই, তাহলে আমরা কেবল ভাল কথোপকথনে জড়িত হচ্ছি। কিন্তু বাস্তবতা হলো দলটি এখন জেলের মতো অবস্থা।’
তাইতো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ সমতায় থেকে শেষ করতে পেরেছে পাকিস্তান। মহসিন নাকভি বলেন, ‘আমাদের দল ঐক্যবদ্ধ এবং জিততে কোনো অসুবিধা নেই, কিন্তু যখন দলের মধ্যে ছোটখাটো সমস্যা থাকে, তখন আমরা অসুবিধার সম্মুখীন হই।’
তাতেও বরং বিষয়টি পরিষ্কার হয়, শাহীন থেকে বাবর- অধিনায়কের দায়িত্ব স্থানান্তরের মধ্যে পাকিস্তানের ড্রেসিং রুমে ঝামেলে হয়েছিল বটে। তবে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে সেসব ঝামেলা বর্তমানের প্রশমিত করা সম্ভব হয়েছে। এখন স্রেফ দেখার পালা, বিদ্বেষের আগুন আবার না মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।