ছাদ খোলা বাসে ট্রফি উচিয়ে ধরলেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সাথে সাথেই জনতার উল্লাসের মাত্রা বেড়ে গেল কয়েকগুণ। ঘরের ছেলেরা ঘরে ফিরেছে বিজয়ীর বেশে। স্বপ্নের শিরোপার অপেক্ষাটা যে প্রায় দশকের ঘর পেরিয়েছে। তাইতো এই মহাআয়োজন, এই খুশির জোয়ার।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিপক্ষে বিশ্বকাপ জয়ের পর পরই দেশে ফিরতে পারেনি ভারতীয় দল। বার্বাডোজে হারিকেন বেরিলের কারণে তাঁদেরকে হোটেলেই আটকে থাকতে হয় বেশ কয়েকদিন। বৃহস্পতিবার ভোর ৬ টায় তাঁরা দেশের মাটিতে পা রাখে। তারপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করে হোটেলে ফিরে যায়। সেখান থেকেই মূলত মুম্বাই মেরিন ড্রাইভের দিকে ভারতের উইনিং প্যারেডের যাত্রা শুরু।
নাচ, গানের সাথে প্ল্যাকার্ড আর পতাকা হাতে ভারতের বিজয় উদযাপন করেছে জনগন, বরণ করে নিয়েছে বিরাট কোহলি-জাসপ্রিত বুমরাহদের। সেই সাথে ইন্ডিয়া! ইন্ডিয়া! চিৎকারে মুখোরিত হয়ে ওঠে চারিদিক।
অধিনায়ক রোহিত শর্মা, অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়াও জনতার তালে তাল মিলিয়ে নাচতে থাকেন। ফাইনালের মঞ্চে রোমাঞ্চকর ক্যাচ তালুবন্দি করা সুরিয়াকুমার যাদব, ভয়ংকর দূর্ঘটনা থেকে বেঁচে আসা ঋষাভ পান্ত জনতার উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান।
পেসার মোহাম্মদ সিরাজ তো উড়ন্ত চুম্বন ছুঁড়ে দেন জনতার উদ্দেশ্যে। অধিনায়ক রোহিত শর্মা এই আয়োজনের সাক্ষী হয়ে বলেন, ‘সকাল থেকেই চমৎকার লাগছে সব, এই শিরোপা সমগ্র জাতির জন্য।’
এক সমর্থক বলেন, ‘গত রাত থেকে আমরা এখানে অপেক্ষা করছি। গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপ হেরে যাওয়াতে, এই বিশ্বকাপ জেতা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
প্রায় এক দশকের অপেক্ষার পর ভারতের ঘরে কোনো আইসিসি ইভেন্টের শিরোপার আগমন। তাছাড়া এর মাধ্যমে ভারত তাঁদের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্বাদ পায়।
তাইতো আনন্দের মাত্রাটাও ভিন্ন। স্মৃতির অ্যালবামে ধরে রাখার সব আয়োজনই করেছে ভারতের সমর্থকরা। বিরাট-রোহিতদের কাছ থেকে দেখতে পাওয়া, জনতার সেই আনন্দে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।