অনেকের মতেই ইউরোপিয়ান সুপার লিগ এখন স্বপ্ন অবান্তর স্বপ্ন। ৮ দল পিছু হটেছে, ৭২ ঘন্টা তোলপাড় চলেছে ফুটবল বিশ্বজুড়ে। শেষমেশ সত্যিতে পরিণত হতে চলা সুপার লিগ থামিয়ে দিয়েছে সমর্থকেরাই। একে একে সরে এসেছেন অনেক ক্লাব কর্তৃপক্ষই।
কিন্তু এখনও আশা হারাননি সুপার লিগের সভাপতি রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। মিডিয়ার সামনে আবারও সবকিছু নিয়েই মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। এবার বসেছেন এএস পত্রিকার সামনে।
আপনি বলেছেন সুপার লিগ এখনও মরে যায়নি, এখনও চলছে। তা বর্তমান অবস্থা কী?
পুরো দলটা এখনও আছে। যে ১২ জন মিলে তৈরি করা হয়েছিল সকলে এখনও একমত আছে এই ব্যাপারে। সবাই পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার অপেক্ষায় আছে। এরকম পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ করা সম্ভব নয়। কিছু নির্দিষ্ট লোক তাদের প্রিভিলেজ হারাতে চায় না বলেই টুর্নামেন্টের পেছনে লেগে আছে।
সুপার লিগ চালু করা নিয়ে আপনার কি কোনো আফসোস আছে? কিংবা যেভাবে এটার সূচনা হয়েছে?
না, কারণ একভাবে না একভাবে জিনিসটা শুরু হতেই হতো। এবং এখন যারা হম্বি-তম্বি করছে, তাদের কথাও চলতো। গত জানুয়ারিতেও ইউয়েফা প্রেসিডেন্ট সুপার লিগের দিয়ে কথা ছুড়ে দিয়েছে। আমরা বারবার তাদের সাথে আলোচনায় বসতে চেয়েছি, তিনি সময়ই দেননি। বরং তারা সাজিয়ে গুছিয়ে সবাইকে ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করেছে। এটা ইউয়েফা আর ফিফা মিলেই করেছে। আর লিগ থেকে সাহায্য পেয়েছে। আর এরপর থেকেই তারা এই ঘটনার মোড় অন্যদিকে ঘোরা শুরু করেছে।
সুপার লিগ নিয়ে প্রথম যে দাবি ছিল যে ডমেস্টিক লিগ ধ্বংস করে দেবে এই টুর্নামেন্ট, কোনো আলাদা দল এটিতে অংশ নিতে পারবে না, একটি প্রাইভেট টুর্নামেন্ট, এই দাবি সেটি নিয়ে কী বলবেন?
কোনোটাই সত্য না। পুরোটাই ম্যানিপুলেট করেছে ইউয়েফা। সুপার লিগ ছিল বেস্ট পসিবল সলিউশন। এটা তৈরিই হয়েছে যাতে এই ক্রাইসিসের সময় আমরা প্রতিটি দলকে সাহায্য করতে পারি। ফুটবল ইকোনমি পুরোটাই ধ্বংস হয়ে যাওয়ার মুখে আছে। আমাদের অ্যাডাপ্ট করে চলতে হবে। সুপার লিগ ডমেস্টিক কাপের বিপক্ষে যাবে না। কনসেপ্ট ছিল গেমে নতুন দর্শক আনা, যেটা ইউয়েফার এই মডেলের সম্ভব নয়।
এছাড়াও তারা ২০২৪ সালে নতুন একটা মডেল আনার চেষ্টা করছে, কিন্তু সেটা কোনো কাজের না। আমার মনে হয় আমরা সামান্য একটা ভুল করেছি, যে কারণে অনেকেই রেগে আছে। আমরা আরো আলাপ আলোচনা করে আইডিয়া জেনারেট করতে পারি। সেটা হলো প্রতি লিগ থেকে টপ ফোরকে আমন্ত্রণ জানানো এই লিগে। কিংবা অন্য কিছু। এখনকার জেনারেশন ফুটবল থেকে অন্য বিনোদনের দিকে ঝুঁকে পড়ছে, সেই দর্শকদের এদিকে টানতে হবে। পৃথিবীতে মোট ৪ বিলিয়ন ফুটবল ফ্যান আছে, আর এই ১২ দলের সমর্থক প্রায় ২ বিলিয়নের উপরে। ফুটবল এমনই গ্লোবাল স্পোর্টস।
ইকোনোমিক সিচুয়েশন কি এতটাই খারাপ? ক্লাবগুলোকে কি আসলেই মরার পথে?
আপনাকে একটা ডাটা দেখাই, ‘কেপিএমজি’ এর – গত মৌসুমে মহামারির প্রথম তিন মাসে ১২ ক্লাব মিলে মোট লসের মুখ দেখেছে প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন ইউরো। এই মৌসুমের শেষে এই ৬৫০ মিলিয়ন গিয়ে দাঁড়াবে ২০০০ থেকে ২৫০০ মিলিয়ন ইউরোতে। ফ্রেঞ্চ লিগে বোর্দো ইতিমধ্যে দেওলিয়া হওয়ার পথে। কম বেশী সব ক্লাবকেই এই পথে যাবে।
এই প্রজেক্ট তো রেভিনিউ বুস্ট করার একটা সাধারণ উপায় ছিল, তাই না?
সত্যি বলতে ফুটবল ম্যাচগুলোকে আরো বেশি ইন্টারেস্টিং, আরো বেশি জনপ্রিয়, আরো বেশি প্রফিট আনার মাধ্যম করতে চাই। এটা সবার জন্যই হবে, শুধু নির্দিষ্ট কয়েকটা দলের জন্য হবে না। এছাড়াও সলিডারিটি প্রজেক্টের মাধ্যমে ছোট ক্লাবদেরও সাহায্য করা হবে, যেটা সকল ক্লাবের জন্যই সুবিধাজনক হবে।
টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সাহায্য কেমন পেয়েছেন?
আমরা তিনবছর ধরে কাজ করছি, এবং সর্বাত্মক সাহায্য পেয়েছি সবার কাছ থেকি। প্রতিটি বিষয় নিয়ে স্টাডি করেই মাঠে নেমেছি আমরা। এমনভাবেই ডিজাইন করা হয়েছে যাতে করে ফুটবলের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের আগ্রহ ফিরিয়ে আনা যায়। এবং টিভি রেভিনিউ সকলকেই সাহায্য করবে, ছোট, বড় সব ক্লাবকেই।
পিএসজি, বায়ার্ন কেন সায় দেয়নি বলে মনে হয়?
ভিন্ন ভিন্ন কারণে। বায়ার্ন মূলত ম্যানেজমেন্ট চেঞ্জের মধ্যে রয়েছে, যে কারণে এখনও উত্তর দিতে পারেনি। পিএসজির ক্ষেত্রে তাদের আমরা বলিইনি। আরো কিছুদিন গেলে তাদের দুজনকেই নিয়মমাফিক আমন্ত্রণ জানানো হতো এবং সেখান থেকে তারা অবশ্যই আমাদের যোগ দিতো।
আপনার মতে ১২ ক্লাব এখনও চুক্তিবদ্ধ এবং ২০২৫ সালের আগে ছাড়তে গেলে ১০০ মিলিয়ন ডলারের উপর জরিমানা দিতে হবে। কথাটা কতটা সত্য?
দেখুন আমি এখন আপনাকে পুরো কন্ট্রাক্ট খোলাসা করে বলতে পারবো না। কিন্তু হ্যা, ক্লাবরা ছাড়তে পারবে না এখন। তবে কেউ কেউ যেমন বলেছে তারা ছেড়ে দিবে বাইরের প্রেশারের কারণে, তেমনটা হবে না। অতি শীঘ্রই সামনে কিছু একটা হতে চলেছে।
শোনা যাচ্ছে জেপি মরগান প্রজেক্ট ছেড়ে চলে যাচ্ছে?
অবশ্যই না। যারা এই প্রজেক্টের মূল স্পন্সর। তারা কোথাও ছেড়ে যাচ্ছে না, তারাও বাকি ক্লাবদের মতন একটু সময় নিচ্ছে। যদি কোনো কিছু পরিবর্তনের দরকার হয়, তবে পরিবর্তন হবে, সে নিয়ে কথাবার্তা চলছে। সুপার লিগ আমাদের হাতে নেওয়া সেরা প্রজেক্ট এবং এটা খুব তাড়াতাড়িই চালু হবে। আমাদের ফ্যানদের সাপোর্টের অপেক্ষা, সে জন্য কোনো পরিবর্তনের দরকার হলে তাও করবো।
ইউয়েফা যে প্রজেক্ট নিয়ে মাঠে নামতে চাচ্ছে, তা কোনোভাবেই অর্থনৈতিক সফলতা বয়ে আনবে না। ২০২৪ পর্যন্ত অপেক্ষা করার অবস্থা অনেক দলেরই নেই।
আপনি কোনটাকে বেশি আশঙ্কাজনক বলে মনে করেন; ১২ টি সুপার লিগ ক্লাবের প্রায় দুই বিলিয়ন ইউরোর কাছাকাছি লস নাকি ১৪ থেকে ২৪ বছরের মধ্যকার কিশোর-কিশোরীদের ফুটবলে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা?
দুটোই সমান উদ্বেগজনক। এজন্যই আমরা সমাধান হিসেবে সুপার লিগ নিয়ে এসেছি।
তার মানে সমাধান বলতে আরও বেশি আয়? কিন্তু ব্যয়ের ব্যাপারটা নিয়ে কী ভাবা হয়েছে? স্যালারি ক্যাপ, এফএফপি? আর যদি কয়েক বছরের মধ্যে যদি পরবর্তী এমবাপ্পেকে কিনতে এক বিলিয়ন ইউরোর দরকার হয়, যার ট্রান্সফারের ফী ৩০০ মিলিয়ন আর বেতন ৬০ মিলিয়ন, তবে তা আসবে কোথা থেকে?
প্রথমত, রেভিনিউ ছাড়া কিছুই নেই। এরপরে ফাইনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে রুলেও কড়াকড়ি করতে হবে। যাতে সকল ক্লাব স্থিতিশীল থাকতে পারে, কারো জন্য প্রতিযোগিতা একপক্ষীয় না হয়ে যায়। প্রতিযোগিতা দরকার, কিন্তু লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের অধীনে। যেমন রিয়াল মাদ্রিদের আয়ের উৎস মাত্র তিনটি; টিকিট, টেলিভিশন এবং স্পনসর। এবং এই মুহুর্তে আমি আরও বেশি চিন্তিত, কারণ উয়েফার প্রেসিডেন্ট এই সপ্তাহে বলেছেন: “যারা ফুটবলে ইনভেস্ট করতে চাচ্ছেন এবং ফুটবল ক্লাবদের অর্থনৈতিক সাপোর্ট দিতে পারছেন, তাদের আমাদের আরো বেশি বেশি সাহায্য করা উচিত।” তারা কী আমাকে বলে দিবে কীভাবে মাদ্রিদ, একটা সোশিওভিত্তিক ক্লাব কীভাবে রাষ্ট্রীয় অর্থায়িত ক্লাবটির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে?
আপনি বলেছিলেন যে ফুটবলের বাঁচিয়ে রাখতে হলে সুপার লিগের মতন একটা টুর্নামেন্ট দরকার, যা সকল ক্লাবের হাতে টাকা এনে দিবে যেটা অনেকের হাতেই নেই। অপরদিকে রিয়াল মাদ্রিদ স্টেডিয়াম সংস্কার করছে, অ্যাটলেটিকো একটি নতুন মাঠ তৈরি করেছে। আপনি এর ব্যাখ্যা কী দেবেন? এটি কি পরস্পরবিরোধী নয়?
দুটো প্রকল্পই মহামারির আগে শুরু হয়েছিল, যা হবে কেউ ভাবেওনি। অ্যাটলিটিকো মাদ্রিদ সিটি হলের সাথে চুক্তিতে মাঠ বানিয়েছে। আর রিয়াল মাদ্রিদ ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ধারে এই স্টেডিয়ামের টাকা পরশোধ করবে। ক্লাবটির প্রতিনিধিরা এটি ভেবেই অনুমোদন করেছে যে সংস্কারটি থেকে বছরে ১৫০ থেকে ২০০ মিলিয়ন ইউরো আয় করবে। অর্থাৎ এটি অত্যন্ত লাভজনক।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চার সেমিফাইনালিস্টের মধ্যে (ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি এবং পিএসজি) তিনটিই কোনো না কোনো সময় ফেয়ার প্লে বিধি লঙ্ঘনের জন্য ইউইএফএ দ্বারা তদন্তের মুখোমুখি হয়েছে, এই বিষয়টি থেকে আপনি কী নেবেন?
আমি কাউকে জাজ করতে চাই না, তবে আমি আপনাকে বলব যে হ্যাঁ, আমরা চিন্তিত। তবে ইতিমধ্যে যা ঘটে গিয়েছে তার জন্যে নয়, বরং কী ঘটতে পারে তার কারণে। কারণ আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি উয়েফার সভাপতি কী বলেছেন। রাষ্ট্রীয় অর্থায়িত ক্লাব বা সমৃদ্ধ মালিকরা যদি সীমা ছাড়াই নগদ টাকা ইনজেকশন করতে পারেন তবে প্রতিযোগিতা করা কঠিন হবে। এজন্য দরকার স্বচ্ছতা আর ক্লাবগুলির উপার্জন কোথা থেকে আসছে তা জানা।
আপনি কি এই প্রকল্পের বিরোধী, বিশেষত সেফেরিন এবং তেবাসের প্রতিক্রিয়া দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন? তারা কেন এমন প্রতিক্রিয়া জানালো বলে আপনার মনে হয়? আর কেনই বা আপনার পুরোটা সাজানো মনে হচ্ছে?
উয়েফা সভাপতির আচরণ কোনোভাবেই যথাযথ ছিল না। একজন সভাপতির কাছ থেকে এমনব ব্যবহাত আশা করা যায় না। যে কীনা ফুটবল ও এর মূল্যবোধ প্রচার করে। যা ঘটেছিল তা সরতিই দু:খজনক, যেসব কথা ও থ্রেট আমাদের দিকে ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে সবটাই। তাদের কথাবার্তার ধরণ আমাকে অবাক করে দিয়েছিল। এখানে আমি যা যা বলছি, তার সবটা আমি তাদের সামনে বসে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলতে পারবো, সে বিশ্বাস আমার আছে।
কিছু সূত্রের মতে, লাপোর্তাই সুপার লিগের আসন্ন ঘোষণার বিষয়ে তাবাসকে বলেছিলেন, সেখান থেকে সেফেরিন জেনে পালটা আক্রমণ করেছেন আপনাদের এ ব্যাপারে মতামত?
সত্যি বলতে, আমার মনে হয় না। লাপোর্তা জানে সুপার লিগই তার দলের জন্য সেরা সমাধান। এটি দিয়ে ফুটবল যেমন তার আবেগ ফিরে পাবে তেমন আয়ও করতে পারবে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তাকে দম ফেলবার ফুসরত দিচ্ছে না। সেখানে সে এই পথেই হাঁটবে বলে আশা করি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোনও পরিবর্তন না এনে কতদিন চলবে বলে মনে হয় আপনার?
খুব বেশিদিন নয়, ক্লাবগুলিকে তাদের সেরা খেলোয়াড় বিক্রি করে দিতে হবে নিজেদের চলার জন্য। ফলে খেলার মানও কমতে থাকবে, আকর্ষণও কমতে থাকবে।
ইউরোপের ফুটবলে যদি উয়েফার মনোপলি খেলে তবে সেটা তারা কেন ঘটতে দিবে?
কারণ ইউরোপীয় আইনে মনোপলি করা সম্ভব নয়। একচেটিয়া জিয়ে যাওয়াও সম্ভব নয়।
ক্লাবগুলি টেলিভিশন নেটওয়ার্জের সাথে সরাসরি আলোচনা করে টিভি রাইটস ভাগ করলে সমস্যার সমাধান হতো বলে আপনার মনে হয়?
আমরা তো এটিই চেষ্টা করেছি সুপার লিগে। সুপার লিগের চুক্তিতেই আছে এটা। এখন দরকার হলো এই প্রকল্পটি লোকজনের কাছে ব্যাখ্যা করার, যে মিথ্যা কথা রটেছে সেগুলো আরো ক্লিয়ার করা দরকার। বাস্কেটবলে ইউরোলিগ এসে যে পরিবর্তন এনেছে, আমরাও সেটি করতে চাই ফুটবলে। যখনই কোনো চেঞ্জ আসে তখনই ভাবে উলটোপথে হাটছি আমরা। মানুষজন পেছনে কথা বলে। ১৯৫৫ সালে শুধু দেশীয় লিগ গতো, সেখান থেকে ইউরোপিয়ান লিগ শুরু হলো, তখনও অনেকেই অনেক কথা বলেছিলেন। সময় বদলেছে, সকলে এখন এটার পাগল। প্রয়োজনে সকল কিছুই বদলায়, ভালোর জন্য। উয়েফার কী করা উচিত তা আমি বলবো না, তবে আমি মনে করি তাদের পরিবর্তন হওয়া উচিত। আরো ভালো কোনো প্রজেক্ট সামনে আনা উচিত।
এই অবস্থায়, মাদ্রিদ কি ভিনিসিয়াস, বা বার্সা পেদিকে ধরে রাখতে পারবে, নাকি ফেরান তোরেসের মতোই তারাও চলে যাবে?
সমস্যা হচ্ছে নতুন সাইনিং নিয়ে, এদের ধরে রাখা সম্ভব হবে বলেই মনে করি। দেখা যাক কেউ তাদের সেরা খেলোয়াড়দের বিক্রি করতে বাধ্য হয় কিনা! আমি এর আগেও তিনটি আয়ের উত্স নিয়ে বলেছি, এর বাইরে এই ক্লাবদের আয় নেই। কিন্তু কিছু ক্লাবের সীমাহীন আয় আছে, তাঁদের দিকে ফুটবলাররা ঝুঁকে পরলে আমাদের কিছুই করার নেই।
ইতালিতে ইতোমধ্যে টিভি রাইটস রিনিউ করা হয়েছে যা ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর কম। এটা কি সতর্ক বার্তা?
এই ঘটনা স্পেন আর ইংল্যান্ডেও একই ঘটনা ঘটবে। কারণ আস্তে আস্তে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের সংখ্যা কম্বে, দেখার আগ্রহ কম্বে, সেই সাথে টাকাও কমবে। নতুন দর্শক তৈরি না করতে পারলে অল্প বয়স্করা অন্যান্য বিনোদনে ঝুঁকে পরবে। ফলাফল হবে যে আমাদের দর্শক কমেই থাকবে আর সেই সাথে আয়ও।
এতে সন্দেহ নেই যে আপনার উয়েফার ২০২৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন নিয়ম পছন্দ হয়নি …
সত্যি হচ্ছে, না। ফরম্যাট, টাইমিং, খেলার সংখ্যা; কোনোটাই নয়।
২০২৪ সালের মধ্যে আমাদের এটি ঠিক করতে হবে নইলে সমস্ত ক্লাব দেউলিয়া হয়ে যাবে। ক্লাব দেউলিয়া হয়ে গেলে বিদ্রোহ হবে আর শেষপর্যন্ত বেঁচে থাকবে তারাই থাকবে যারা কোনো দেশের মালিকানাধীন কিংবা কোনো কোটিপতির নিজস্ব ক্লাব। যারা নিজেদের বিনোদনের জন্য অনেক টাকা হারাতেও পিছপা হবে না।