আইএল টি-টোয়েন্টির পাট চুকিয়ে দেশে ফিরেছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। ভিনদেশি কোন এক ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে, বাংলাদেশের তিনজন প্রতিনিধির সমানতালে সুযোগ পাওয়া ও পারফরম করার নজির খুব একটা নেই। কিন্তু এবারের আইএল টি-টোয়েন্টি রীতিমত মাতিয়ে এসেছেন মুস্তাফিজ ও তাসকিন।
প্রথমবারের মত আইএল টি-টোয়েন্টি খেলতে গিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। তাদের সাথে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে এখনও সেই টুর্নামেন্টে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। যেহেতু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ শুরু হয়ে গেছে, তাই মুস্তাফিজ ও তাসকিনকে ফিরতে হয়েছে দেশে।
এই দুইজনের প্রথম যাত্রা কেটেছে দূর্দান্তভাবে। বিশেষ করে মুস্তাফিজুর রহমানের। তিনি যেখানেই যান না কেন, দ্যুতি ছড়াতে তার নেই কোন কার্পণ্য। আইএল টি-টোয়েন্টিতে দুবাই ক্যাপিটালসকে প্লে অফে তোলার ক্ষেত্রে তার কৃতীত্ব কোন অংশে কম নয়। আট ম্যাচে দুবাইয়ের জার্সিতে তিনি নেমেছিলেন মরুর বুকে।

এই আট ম্যাচে তার শিকার ১৫টি উইকেট। ৮.০৮ ইকোনমিতে তিনি রান বিলিয়েছেন। একটি ম্যাচে তো ম্যাচ সেরার পুরষ্কারটাও জিতেছেন। ডেথ ওভারে দূর্দান্ত মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন তিনি বরাবরের মতই। অন্যদিকে তাসকিন আহমেদেরও সময়টা কেটেছে বেশ ভালই। তার দল শারজাহ ওয়ারিয়ার্স যদিও টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গেছে। কিন্তু তাসকিন নিজের সক্ষমতা প্রদর্শনের সুযোগ হেলায় হারাতে দেননি।
মুস্তাফিজের মত আইএল টি-টোয়েন্টিতে এটিই ছিল তাসকিনের অভিষেক মৌসুম। মোট ছয় ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন তাসকিন। নিজের প্রথম ম্যাচে তিনি উইকেট শূন্য থাকলেও, দ্রুতই ধাতস্থ হয়ে উইকেট অন্বেষণের পদযাত্রা শুরু করেন তাসকিন। মোট নয় খানা উইকেট যুক্ত হয়েছে তাসকিনের ঝুলিতে।
৮.৭৫ ইকোনমি চোখের জন্য স্বস্তিদায়ক না হলেও, একেবারেই মন্দ নয়। যেখানে দলের অবস্থাই নাজেহাল, সেখানে তাসকিনের পারফরমেন্সকে গড়পরতার তুলনায় ভালই বলা যেতে পারে। অন্যদিকে সাকিব আল হাসান নিজ দল এমআই এমিরেটসকে নিয়ে অবস্থান করছেন প্লে-অফে। উইকেট কিংবা রানের মানদণ্ডে বিচার করা যাবে না। তার ইম্প্যাক্ট এখনও অনস্বীকার্য।

৫.৮৫ ইকোনমিতে তিনি রান দিয়েছেন এখন পর্যন্ত নিজের খেলা ৫ ম্যাচে। কোন কোন ম্যাচে যে এই রানের লাগাম টেনে ধরাই মোমেন্টাম চেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়, সে প্রমাণ তো মিলেছে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিতের রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচে। চার ওভারে ১৫টি ডট বলের বিপরীতে স্রেফ ১১টি রান বিলিয়েছেন সাকিব। সেটাই দলের জয়ের পথ সুগম করেছে, এমআই এমিরেটসের জন্য টেবিলের দুই নম্বর স্থান সুনিশ্চিত করতে সহয়তা করেছে।











