পারফরম্যান্স না পক্ষপাত – লড়াইবাজ ‘রানা’র দৌঁড়

হয়তো কোনও একদিন ৪ উইকেট নিয়ে হেডলাইন হবেন। আবার কোনোদিন হবেন ব্যর্থ। কিন্তু, একটা কথা নিশ্চিত — এই যুদ্ধবাজ ‘রানা’ ‘লড়াইয়ের মঞ্চ’ ছাড়বেন না।

‘পারফরম্যান্স না পক্ষপাত?’ — প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে অনেকে! বিতর্ক থামেনি। কটাক্ষ থামেনি। হার্ষিত রানা বারবার তীর্যক বাক্যবাণে জর্জরিত হয়েছে।

এমনও বলাও হয়, গৌতম গম্ভীর কোচ না থাকলে কীভাবে টিম ইন্ডিয়ায় সুযোগ পেতেন হার্ষিত? কিন্তু, হার্ষিতের মুখে জবাব পরিষ্কার – ‘আমি পারফর্ম করেছি, সুযোগ ছিনিয়ে এনেছি। কারো দয়ায় দলে জায়গা হয় না।’

সেই সাহসের ভেতরেও আছে কৃতজ্ঞতার ছোঁয়া। কারণ আরেক ‘রানা’, নিতিশ রানাই প্রথম দেখেছিলেন হার্ষিতের প্রতিভা। কলকাতা নাইট রাইডার্সে এনেছিলেন তাঁকে। তাই আজও হার্ষিত বলেন, ‘নিতিশের কাছে আমি ঋণী। তিনিই আমার গল্পের শুরু করেন।’

গম্ভীরের মোটিভেশন, ডোয়াইন ব্রাভোর শিক্ষা, রোহিত-বিরাটের অভিজ্ঞতার ঝুলি — সব মিশে যাচ্ছে এক নতুন ক্রিকেটার তৈরির ফর্মুলায়! গম্ভীর একদিন বলেছিলেন, ‘৪ ওভারে ৬০ দাও বা ১০ দিয়ে ৪ উইকেট নাও—মাঠে লড়াইয়ের মানসিকতা যেন না বদলায়। খেলোয়াড়কে খেলোয়াড় বানায় ‘মাইন্ডসেট’, পরিসংখ্যান নয়।’

এই এক কথায় বদলে গেছে হার্ষিতের মানসিকতা, বদলে গেছে দৃষ্টিভঙ্গি। এবার নাইট সংসারে গম্ভীর নেই। আছেন নতুন মেন্টর ডোয়াইন ব্র্যাভো — যাঁর কাছে এখন শেখা চলছে ওয়াইড ইয়র্কারের জাদু। আর ভারতের ড্রেসিংরুমে রোহিত-বিরাটের মত কিংবদন্তিদের সংস্পর্শে সেই শেখার পালা এখনও চলছে।

‘নিজের শক্তির উপর ভরসা রাখ। ব্যাটার কে – দেখার দরকার নেই।’ — হর্ষিতের চোখেমুখে এখন শুধু আত্মবিশ্বাস, আর লক্ষ্য শুধু একটাই — লড়াই করে যাও। আইপিএলে এবার ৪ ম্যাচে মাত্র ৩ উইকেট। অনেকে বলবে, এটা নাকি ‘সেকেন্ড সিজন স্লাম্প’।
কিন্তু হার্ষিত বলেন, ‘এই পথ কঠিন হবে জানি, কিন্তু থামব না। শেখার মঞ্চটা এখনো পুরোদমে চালু।’

হয়তো কোনও একদিন ৪ উইকেট নিয়ে হেডলাইন হবেন। আবার কোনোদিন হবেন ব্যর্থ। কিন্তু, একটা কথা নিশ্চিত — এই যুদ্ধবাজ ‘রানা’ ‘লড়াইয়ের মঞ্চ’ ছাড়বেন না।

Share via
Copy link