যা আগে কখনোই ঘটেনি, তা করে দেখিয়েছেন ফিল সিমন্স। ড্রেসিং রুমে দলের সবার সামনেই তিনি দোষারোপ করেছেন দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের। তিনি যেহেতু নতুন একট ঘটনার মঞ্চায়ন করেই ফেলেছেন, বিদায়ের আগে এবার তার উচিৎ ভবিষ্যত বাংলাদেশ দলের একটা রুপরেখা জনসম্মুখে প্রকাশ করা। সেটা কিভাবে?
ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের ক্রিকেট পাড়ায় খবর চাওড় হয়ে গেছে। হেড কোচ ফিল সিমন্স বেশ কড়াভাবেই সমালোচনা করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমকে। তরুণ ক্রিকেটাররা কোচের এমন ব্যবহারে অবাক হয়েছেন। এর আগে তারা কখনোই সিনিয়র ক্রিকেটারদের প্রশ্নের মুখে পড়তে দেখেননি। বরং সবসময় তাদেরকে রোল মডেল হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে টাইগারদের ড্রেসিংরুমে।
কিন্তু এবার সেই ধারায় পরিবর্তন এনেছেন ফিল সিমন্স। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৭ ওভার হাতে থাকার পর অপ্রয়োজনীয় স্লগ সুইপ করতে গিয়ে আউট হয়েছেন, মুশফিকুর রহিম। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অতিরিক্ত আগ্রাসী হতে গিয়ে আউট হয়েছেন হাতে ২৪ ওভার থাকতে। দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের কাণ্ডজ্ঞানহীন শটের কারণে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।
নিজেদের বাঁচা-মরার ম্যাচে প্রথম ইনিংসেই টুর্নামেন্ট থেকে বাদ হওয়ার রাস্তা তৈরি করে ফেলে বাংলাদেশ। তাতে সাধারণ দর্শকদের মতই ক্ষিপ্ত হয়েছেন হেড কোচ ফিল সিমন্স। যেহেতু তিনি একটু নতুন দিনের দুয়ার খুলেই ফেলেছেন, সেহেতু তার উচিত আরেকটু সাহস দেখানো।
পাকিস্তানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্যে স্রেফ নিয়ম রক্ষার ম্যাচ। সেই ম্যাচে দুই সিনিয়র ক্রিকেটারকে বসিয়ে দেওয়াই হবে সিমন্সের ‘রিয়েল অ্যাকশন’। অভিজ্ঞতার মায়াজাল থেকে বেড়িয়ে বাংলাদেশকে এগোতে হবে, সেজন্যে তরুণদের সুযোগ দেওয়ার বিকল্প নেই।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রিয়াদকে একাদশে সুযোগ দিতে সৌম্যকে ছাড়তে হয়েছিল নিজের জায়গা। রিয়াদকে বসিয়ে সৌম্যকে ফিরিয়ে আনা উচিৎ। এরপর মুশফিকের বদলে পারভেজ হোসেন ইমনকে একাদশে সংযুক্ত করাই হতে পারে বদলে যাওয়া দিনের প্রতিচ্ছবি।
সেক্ষেত্রে নাজমুল হোসেন শান্ত চার নম্বর ব্যাটার হিসেবে মাঠে নামাই হবে আদর্শ সিনারিও। যেহেতু পুরনো সংস্কৃতিকে আঘাত করেই ফেলেছেন সিমন্স, সেহেতু আঘাতটা জোরেসোরেই করা উচিত। এমনিতেও সিমন্সের দিন খুব বেশি লম্বা হচ্ছে না- তা বলে দেওয়াই যায়। অন্তত সিনিয়রদের বসিয়ে দেওয়া যায়, এমন একটা ধারা তো শুরু করে দিতেই পারেন তিনি।