স্কিল নয়, পরিকল্পনায় বারবার ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ দল। আর বাংলাদেশ দলের মূল পরিকল্পনাকারী এই মুহূর্তে সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। ফলে, সমালোচনার সকল তীরও এখন তাঁর দিকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সুপার ওভারের আগেও বাংলাদেশ দলের পরিকল্পনা সাজান তিনিই। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের সাথে বারবার তাকেই কথা বলতে দেখা যায়। রিশাদ হোসেনের জায়গায় নাজমুল হোসেন শান্তকে নামিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত তাঁরই। রিশাদ হোসেন দারুণ টাচে ছিলেন, মূল ম্যাচেও তিনি পাওয়ার হিটিং করেছেন আকিল হোসেনের বিপক্ষে। কিন্তু, তিনি পেলেন কোচ-অধিনায়কের সুনজর।
তাঁর সিদ্ধান্তেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপে লিটন দাসের জায়গায় অধিনায়ক ছিলেন জাকের আলী। এটুকু না হয় মানা গেল, কিন্তু নুরুল হাসান সোহান থাকতে জাকের কেন দাঁড়াবেন উইকেটের পেছনে? – এই প্রশ্ন করাই যায়। এই প্রশ্নবানে জর্জরিত হয়েছেন সালাহউদ্দিন, তবে সেই প্রশ্নের কোনো জবাব মেলেনি।
মাঠে থেকে ড্রেসিংরুম পর্যন্ত সালাহউদ্দিনের সক্রিয় উপস্থিতি দেখলেই বোঝা যায়, তিনিই দলে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি। একাদশ নির্বাচন থেকে ব্যাটিং অর্ডার—সব সিদ্ধান্তে তাঁর মত-ই নাকি মুখ্য ভূমিকা রাখে। দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স যেন নিছক দর্শক।
তাঁর নিজস্ব একটা ‘পছন্দের তালিকা’ও আছে। অভিযোগ আছে—সালাউদ্দিন নাকি নিজের পছন্দের ক্রিকেটারদের সুযোগ দিচ্ছেন। বিষয়টা হয়তো অভিযোগ। সেটা নিয়ে আলোচনা না হয় নাই করা হল, কিন্তু পরিকল্পনায় যে ঘাটতি আছে সেটা তো প্রকাশ্য দিবালোকের মতই সত্য। সেই সত্য অস্বীকার করে কতদিন নিজের জায়গা ধরে রাখবেন সালাহউদ্দিন?
ভেতরের খবর হল, খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাঁর ব্যাপারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। বোর্ড সভাপতি নিজে থেকেই নাকি, নতুন করে একজন সহকারী কোচ খোঁজার কথা বলেছেন। তাহলে কি বাংলাদেশ ক্রিকেটে সালাহউদ্দিনের অধ্যায়ের ইতি ঘটতে চলেছে?