৩৯ বছর বয়স ধরা যেতে পারে শেষ সীমা। এই বয়সের পর থেকেই ক্রিকেটারদের পারফরমেন্স হ্রাস পেতে থাকে। তবে আসছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে ওয়ানডেকে বিদায় বলার অপেক্ষায় থাকা মোহাম্মদ নবী অবশ্য ভিন্ন বার্তা দিচ্ছেন। তিনি প্রমাণ করছেন বয়সটা স্রেফ একটা সংখ্যা। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ সেরার পুরষ্কার জিতেছেন তিনি। এই বয়সে এসেও দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন তিনি।
তাই তো ওয়ানডেতে মাত্র পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে ৩৯ বা ততোধিক বয়সে সিরিজ সেরার পুরষ্কার জিতেছেন তিনি। এর আগে মাত্র চারজন এমন কীর্তি গড়তে পেরেছেন। সর্বপ্রথম স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস এই রেকর্ডের সূত্রপাত করেন।
সেই ১৯৯১ সালে রেকর্ডটি গড়েছিলেন তিনি। ৩৯ বছর বয়সের পর মোটে ৭টি ম্যাচ খেলেছিলেন। সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে সিরিজ সেরা হওয়ার রেকর্ডটা তারই দখলে রয়েছে।
অন্যদিকে, এই বয়স সীমার পর সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন পাকিস্তানের মিসবাহ-উল হক। তিনি ৪৫টি ম্যাচ খেলেছেন ৩৯ এর গণ্ডি পার করে। যার মধ্যে ৩টি ম্যাচে ম্যাচ সেরা হয়েছেন। পাশাপাশি একবার সিরিজ সেরার খেতাব জুটেছে মিসবাহর।
নবীর আগে সবচেয়ে সাম্প্রতিক এই রেকর্ড গড়েছিলেন ক্যারবিয়ান হার্ডহিটার ক্রিস গেইল। ৩৯ বছরের মাইলফলক ছুঁয়ে তিনি একবার হয়েছেন সিরিজ সেরা। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহিরও রয়েছেন এই তালিকায়। তিনিও একবার সিরিজ সেরা হয়েছেন ৩৯ বছর পার করবার পর।
তবে, এদের সবাইকে ছাপিয়ে যাওয়ার সুযোগ এখনও আছে মোহাম্মদ নবীর। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত ওয়ানডে খেলবেন তিনি। ফলে, আফগানিস্তানের নব-জাগরণের ধারায় তিনিও জয়ের নায়ক হতেই পারেন। আরেকটি সিরিজ সেরার পুরষ্কার তাকে বানিয়ে দিতে পারে এক ও অনন্য।