দরজায় কড়া নাড়ছে আইপিএল ২০২৫, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচ দিয়ে এবারের আসরের পর্দা উঠবে। তবে আইপিএল শুরু হলেও একাধিক তারকা খেলোয়াড়কে মাঠে দেখার অপেক্ষা এত দ্রুত ফুরোচ্ছে না।
- জাসপ্রিত বুমরাহ (মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স)
চোটের কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা হয়নি জাসপ্রিত বুমরাহর। গত জানুয়ারি থেকেই আসলে খেলার বাইরে তিনি, ফিরতে সময় লাগবে আরো প্রায় এক মাস। অর্থাৎ আইপিএলের অন্তত প্রথম দুই সপ্তাহ মাঠের বাইরে থেকেই দেখতে হবে তাঁকে। আর সেটা নিশ্চিতভাবেই মুম্বাইয়ের সুখকর কিছু নয়, দলের বোলিং বিভাগের মেইনম্যান তো এই পেসারই।
- মায়াঙ্ক যাদব (লখনৌ সুপার জায়ান্টস)
এগারো কোটি রুপি খরচ করে স্পিডস্টার মায়াঙ্ক যাদবকে দলে ভিড়িয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। কিন্তু ভাগ্য খারাপ বলতেই হয়। লাম্বারে আঘাত পেয়ে লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে চলে গিয়েছিলেন মায়াঙ্ক। কেবলই মাত্র বিসিসিআই এর সেন্টার অব এক্সিলেন্সে বোলিং করা শুরু করেছেন তিনি, প্রত্যাবর্তনের জন্য আরো অনেক ধাপ পার করতে হবে তাঁকে। অর্থাৎ আইপিএলের প্রথম ভাগে এই পেসারকে পাওয়া যাচ্ছে না সেটা নিশ্চিত।
- হার্দিক পান্ডিয়া (মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স)
এই তালিকায় নাম দেখে বিস্মিত হবেন না, সদ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতা লোকটা চোটে পড়েননি। বরং গত আসরে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্লো ওভার রেটের কারণে শাস্তি পেয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া, এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তাঁকে। ফলে নতুন আসরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের উদ্বোধনী ম্যাচে থাকছেন না তিনি।
- মিচেল মার্শ (লখনৌ সুপার জায়ান্টস)
স্রেফ মায়াঙ্ক যাদব নয়, লখনৌ সুপার জায়ান্টস মিচেল মার্শকেও পাচ্ছে না মৌসুমের শুরু থেকে। পিঠের নিচের অংশে তীব্র ব্যাথার কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন অজি অলরাউন্ডার। এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। কবে নাগাদ সুস্থ হবেন সেটাও নিশ্চিত নয়, এমনকি পুরো আইপিএলও লেগে যেতে পারে।
- জশ হ্যাজলউড (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু)
স্বদেশী মার্শের মত একই ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে জশ হ্যাজলউডকে, কোমরের চোটে খেলা হয়নি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এখন তো আইপিএলে খেলা নিয়েও শঙ্কা জেগেছে। আর শঙ্কা সত্য হলে মহাবিপদেই পড়বে ব্যাঙ্গালুরু। দলটার আরেক ক্রিকেটার জ্যাকব বেথেলের খেলাও সংশয়ে, হ্যামস্ট্রিংয়ে ইনজুরিতে ভুগছেন এই ইংলিশম্যান।