সিলেটে রীতিমত বিদ্রুপের শিকারই হচ্ছে চট্টগ্রাম রয়্যালস দল। চায়ের রাজধানীতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়লেন চট্টগ্রাম দলের খেলোয়াড়রা। মাঠের খেলায় যাই হোক, দলের শুরুটা গেল আসরের দুর্বার রাজশাহীকেও ছাড়িয়ে গেল।
টিম বাসই নেই দলটির। ছোট্ট একটা কোস্টার বাস দেওয়া হয়েছে। সেটা দেখে সিএনজি ভাড়া করতে বললেন দলের পেসার শরিফুল ইসলাম। সেই বাসে আবার বড় করে লেখা ‘রিল্যাক্স’। প্রশ্ন আসতে পারে এই বাসে বাসে রিল্যাক্স করা কি আদৌ সম্ভব?
বাসটিও যেন দলের বর্তমান অবস্থার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। সামনের উইং মিররের কাছে চোখে পড়ার মতো একটি ফাটল যেন ইতোমধ্যেই ভাঙনের পথে থাকা পুরো ম্যানেজমেন্টের রূপক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কে বলবে, গরিবী চালচলনের এই চট্টগ্রাম রয়্যালস দলেই এক কোটি দশ লাখ টাকায় নিলাম থেকে বিক্রি হয়েছেন আসরের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় মোহাম্মদ নাঈম শেখ।
বারবার নেতিবাচক কারণেই শিরোনাম হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। বিমানবন্দর থেকে দলকে আনতে পাঠানো হয় একটি ছোট মাইক্রোবাস। সেটি এতটাই অপ্রতুল ছিল যে পুরো দলকে বহন করাই সম্ভব হয়নি। ফলশ্রুতিতে শেখ মেহেদী হাসানকে অসহায়ভাবে রানওয়েতে হাঁটতে দেখা যায়, আর তাঁর সতীর্থরা ঠাসাঠাসি করে ভেতরে বসে ছিলেন।

এই লজ্জা গভীরভাবে নাড়া দেয় খেলোয়াড়দের। জাতীয় দলের তারকা পেসার শরিফুল ইসলাম নিজের বিরক্তি গোপন করেননি। গাদাগাদি করা ভ্যানটির দিকে তাকিয়ে তিনি নাকি ক্ষোভের সঙ্গে বলেছিলেন, সিএনজি অটোরিকশায় চড়লেই বরং ভালো হতো।
একটি পেশাদার ভাবমূর্তি গড়তে চাওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য চূড়ান্ত অপমানজনক সূচনা। অনুশীলনের পর সাংবাদিকদের কাছে রয়্যালসের মেন্টর তুষার ইমরান বিমানবন্দর কাণ্ড প্রসঙ্গে মুখ খুলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি দলীয় মিটিংয়ে আলোচনা করেছি এবং ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়েছি। এটা ঘটেছে, ভবিষ্যতে আমরা আরও সতর্ক থাকব।’
এখানেই শেষ নয়, বল গড়ানোর আগেই রয়্যালসের স্কোয়াড ভেঙে পড়েছে। বিদেশি ক্রিকেটার পল স্টার্লিং ও নিরোশান ডিকওয়েলা টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করেছেন। আর পাকিস্তানের আবরার আহমেদের এনওসি পাওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে।

দলটি আশা করছে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যামেরন ডেলপোর্ট ও পাকিস্তানের কামরান গুলাম এই শূন্যতা পূরণ করতে পারবেন। এই আশা এবার পূরণ হলেই হয়!










