গোল করা ছাড়া থাকতেই পারছেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো; ঘরের মাঠ কিংবা প্রতিপক্ষের উঠোন, ক্লাব কিংবা জাতীয় দল, তাঁর গোল উৎসব চলছেই। সবশেষ উয়েফা নেশন্স লিগে পোল্যান্ডের বিপক্ষে গোল করলেন তিনি, এ নিয়ে চলতি টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচ খেলে তিন গোল করলেন। আর ক্লাব ও আন্তর্জাতিক ম্যাচ মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে গোল করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
ইউরোর পর থেকে এখন পর্যন্ত বারো ম্যাচ খেলেছেন পর্তুগিজ তারকা, এর মধ্যে এগারো ম্যাচেই স্কোরবোর্ডে নিজের নাম লিখতে পেরেছেন তিনি।
যদিও পোল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর গোলে কৃতিত্ব দিতে হবে রাফায়েল লিওকে। নিজের অর্ধে বল পেয়ে একাই ড্রিবলিং করে পোলিশ রক্ষণভাগকে ফাঁকি দেন তিনি, ঢুকে যান ডি বক্সে। তবে তাঁর শট গোলপোস্টে লেগে চলে আসে রোনালদোর পায়ে। জালে বল ঠেলে দিয়েই এরপর সিইউ উদযাপনে মাতেন তিনি, অবশ্য গোল আরো আগেই আসতে পারতো কিন্তু দশ মিনিটের মাথায় নেয়া তাঁর শট ক্রসবারে বাঁধা পায়।
অন্যদিকে, লিও প্রায় একই ভঙ্গিমায় গোলের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন ব্রুনো ফার্নান্দেজকে। একক প্রচেষ্টায় ডি বক্সে ঢুকে তিনি বল পাঠান ব্রুনোর উদ্দেশ্যে, কিন্তু ছয় গজ দূর থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন এই মিডফিল্ডার। একই ভুল তিনি করেছিলেন কয়েক মিনিট আগে, নিশ্চিত গোলের হাত-ছানি উপেক্ষা করে সিআরসেভেন স্কয়ার পাসে তাঁকে খুঁজে নিয়েছিলেন গোলপোস্টের ঠিক সামনে।
কিন্তু গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে মারার পরিবর্তে উপর দিয়ে বল মেরে দেন ম্যানইউ তারকা। এমন নড়বড়ে ফিনিশিং না হলে নিশ্চিতভাবেই গোল সংখ্যা বাড়তো পর্তুগালের। যদিও তাঁর সুবাদে শুরুতে গোলের খাতা খুলতে পেরেছিলেন বার্নান্দো সিলভা। লফটেড পাসটা ওভাবে রিসিভ না করলে হয়তো গোলের দেখা পেতেন না সিলভা।
অবশ্য শেষদিকে গোল করেছেন পিওটর জিয়েলিনস্কি, ম্যাচও তখন জমে উঠেছিল। পোলিশ সমর্থকেরা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল অবিশ্বাস্য কিছু করে দেখানোর, তবে নাটকীয় কিছুই হয়নি আর। উল্টো জান বেদনারেক অন্তিম মুহূর্তে আত্মঘাতী গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে তোলেন।