পাকিস্তান মানেই তো পরিবর্তন। আর বড় হার দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যখন শুরু হবে, তখন পাকিস্তানে পরিবর্তন তো খুবই স্বাভাবিক। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বেশ বড়সড় ধাক্কা খেলো মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল। সেই ধাক্কায় বদলে যাবে দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশ।
কারণ, ভারতের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাই ১৮০° ঘুরে দাঁড়াতে হবে তাঁদের, তা নাহলে পুরোপুরি ধূলিসাৎ হয়ে যাবে সব আশা। ডু অর ডাই ম্যাচে একাদশে বদল আনবে টিম ম্যানেজম্যান্ট, এমনটা অবশ্য নিশ্চিত।
একটা পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী, নিউজিল্যান্ড ম্যাচে চোটে পড়া ফখর জামানের জায়গায় স্কোয়াডে এসেছেন ইমাম উল হক। পরের ম্যাচের একাদশেও তাঁর থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ওপেনিংয়ে তিনি সঙ্গী হিসেবে পাবেন বাবর আজমকে। যদিও কচ্ছপ গতির ইনিংস খেলার পর অনেকটাই চাপে আছেন বাবর, সেটার একটা প্রভাব থাকবে পরের ম্যাচেও।
টপ অর্ডার নতুন করে সাজানোর লক্ষ্যে উসমান খানকে একাদশে রাখা হতে পারে। বাবর এবং ইমাম দু’জনেই কিছুটা ধীর গতিতে ব্যাটিং করেন। তাই একজনকে অন্তত দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করতে হবে।
তাই, উসমানই হতে পারেন পাকিস্তানের এক্স ফ্যাক্টর। আর তাঁকে জায়গা দিতে খুব সম্ভবত সরে যেতে হবে তায়াব তাহিরকে।মিডল অর্ডারে মোহাম্মদ রিজওয়ান, সালমান আলী আঘা এবং খুশদিল শাহর জায়গা নিশ্চিত বলা চলে। চোট কিংবা গুরুতর কোন সমস্যা না হলে তাঁরাই থাকবেন স্বাগতিকদের আস্থা হয়ে। বাদ পড়তে পারেন সৌদ শাকিল। জায়গা নড়বড়ে তায়েব তাহিরেরও। তবে, ব্যাটিং পজিশনের খাতিরে টিকে যাবেন তিনি।
ডান-বাম কম্বিনেশনের কারণে পাকিস্তানের মিডল অর্ডার বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। ভারতীয় স্পিনারদের মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে ব্যাপারটা।
বোলিং বিভাগে শাহীন শাহর ফর্ম নিঃসন্দেহে দুশ্চিন্তার কারণ, তবে ভারতের বিপক্ষে তাঁর পুরনো পরিসংখ্যান আর ব্যাটিং লাইনআপে ডানহাতির আধিক্য বিবেচনায় তিনি টিকে যাবেন এ যাত্রায়।
নাসিম শাহও থাকবেন ভারতের বিপক্ষে, তবে হারিস রউফের জায়গায় ফাহিম আশরাফকে বাজিয়ে দেখতে পারে টিম ম্যানেজম্যান্ট। সেক্ষেত্রে ব্যাটিংয়ের শক্তি কিছুটা বাড়বে। যদিও স্পিন বিভাগে পিছিয়ে আছে দলটা, আবরার আহমেদ ছাড়া বিশেষজ্ঞ স্পিনার নেই আর কেউ। তাই দুবাইয়ে স্পিনাররা ভাল করবেন জেনেও এক স্পিনার নিয়ে খেলতে হবে তাঁদের।
পাকিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ তাহলে অনেকটা এমন হচ্ছে – ইমাম উল হক, বাবর আজম, উসমান খান, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সালমান আঘা, তায়েব তাহির, খুশদিল শাহ, শাহীন শাহ, হারিস রউফ/ফাহিম আশরাফ, নাসিম শাহ, আবরার আহমেদ।