আবারও ইউরোপীয়ান ট্রান্সফার মার্কেটে ঝড় তুলতে যাচ্ছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। বিপুল পরিমাণ অর্থকড়ি নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছে প্যারিসের ক্লাবটি। এবার তাদের টার্গেট লামিন ইয়ামাল। ২০১৭ সালে নেইমারকে যেভাবে দলে এনেছিল পিএসজি, ঠিক একই কায়দায় ইয়ামালকে চায় দলটি।
এই মুহূর্তে বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম উদীয়মান তারকা লামিন ইয়ামাল। বয়সটা এখনও ১৮-তে পড়েনি। এরই মধ্যে তিনি আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। এমনকি ইউরোপ সেরার খেতাবও জিতেছেন স্পেনের হয়ে। তার অসাধারণ নৈপুণ্যের ফায়দা প্রতি নিয়ত পাচ্ছে বার্সেলোনা।
তাতেই যেন লোভ সামলাতে পারছে না পিএসজি। তাদের নজর এখন লামিনের দিকে। যে করেই হোক তারা লামিনকে দলে চান। এর জন্য প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেছে ক্লাবটি। ধারণা করা হচ্ছে, লামিনকে রেকর্ড পরিমাণ পারিশ্রমিকের বিনিময়ে দলে ভেড়াবে পিএসজি। স্প্যানিশ গণমাধ্যমগুলো অবশ্য এমন তথ্যই জানাচ্ছে।
২০১৭ সালে রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিয়ময়ে নেইমারকে দলে এনেছিল ফ্রান্সের ক্লাবটি। এত বিপুল পরিমাণের অর্থ ব্যয়ের কারণ ছিল নিজেদের টিকে থাকা। পিএসজি বরাবরই ইউরোপীয়ান ফুটবলে টিকে থাকার লড়াই করে। নিজেদের ভিত্তি শক্ত করতে অর্থ খরচে কৃপণতা নেই ক্লাবটির। তবুও নড়বড়ে রয়ে যায় ক্লাবের অবস্থান।
তাই তো নেইমারের বিপুল পরিমাণ রিলিজ ক্লজের অর্থ পরিশোধ করে তাকে দলে নিয়েছিল পিএসজি। এবারও লামিনের সম্পূর্ণ রিলিজ ক্লজ পরিশোধ করে তাকে প্যারিসে আনতে চাচ্ছে ক্লাবটি। বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রলোভনও দেখানো হতে পারে তরুণ এই ফুটবলারকে। সে অর্থের ঝনঝনানি এড়ানো দায় হয়ে যেতে পারে লামিন কিংবা বার্সেলোনার জন্য।
যদিও পিএসজি এখন নতুন প্রোজেক্ট হাতে নিয়েছে। নিজেদের খেলোয়াড় গড়ে তোলার দিকেও মনোযোগ দিচ্ছে ক্লাবটি। লুইস এনরিকে ম্যানেজার হওয়ার পর থেকেই ক্লাবের এমন পরিবর্তন। যদিও এই পরিবর্তীত মনোভাবের বয়স কেবল বছর দুই। তাই তো ফলাফল পেতে সময় লাগবে খানিকটা। এছাড়াও তারকা খেলোয়াড় কিলিয়ান এমবাপ্পে ছেড়েছেন দল। একজন বিশ্ব তারকা পিএসজির চাই-ই চাই। তাই তো সময়ের অন্যতম সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়কে দলে আনতে মড়িয়া পিএসজি।
তবে লামিন এখনই হয়ত এসব নিয়ে ভাবছেন না। তিনি পূর্ণ মনোযোগ দিচ্ছেন ব্লাউগানা শিবিরে। আসমানে পাখা মেলে উড়তে চান তিনি বার্সেলোনার জার্সি গায়ে। সেই পাখাকে আরও খানিকটা পোক্ত করছেন স্প্যানিশ এই তারকা। তবে সময় গড়ালে, অর্থের প্রলোভনে বদলে যেতে পারে তার লক্ষ্য। তাতে করে আবারও ইউরোপীয়ান ফুটবলের মার্কেটে পড়তে পারে বিরূপ প্রভাব।