এমির পাগলামির লাগাম টেনে দিল পিএসজি

যথা সাধ্য চেষ্টা চালিয়েছেন দিবু মার্টিনেজ। অন্তত তার পারফরমেন্সের ফলে তার সব পাগলামিকেও বাড়াবাড়ি মনে হয় না এক ছটাক।

পাগলাটে এমি মার্টিনেজ ফ্রান্সের দর্শকদের ক্ষেপিয়ে দিলেন বটে। কিন্তু এবার আর জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়া হল না তার। ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালের সেই সুখস্মৃতি তো এখনও এমি মার্টিনেজের সম্বল। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মঞ্চে যে জলোচ্ছ্বাস হয়ে গোলের সামনে আছড়ে পড়ছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। তাদেরকে যে আটকে রাখা দায়!

তবে পার্ক দে প্রিন্সেসে এমির পারফরমেন্সে ছিল না ঘাটতি। পিএসজির দুর্ধর্ষ আক্রমণের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে আটখানা গোল হজম থেকে বাঁচিয়েছেন তিনি দলকে। যথা সাধ্য চেষ্টা চালিয়েছেন দিবু মার্টিনেজ। অন্তত তার পারফরমেন্সের ফলে তার সব পাগলামিকেও বাড়াবাড়ি মনে হয় না এক ছটাক।

ফ্রান্সে পা রেখেছিলেন তিনি আর্জেন্টিনার জার্সিতে তার জেতা চার শিরোপা খচিত ক্যাপ পড়ে। তাতে করে সমালোচনার একটা রোল পড়ে যায়। এরপর আবার তার চুলেও ছিল আর্জেন্টিনার পতাকার রঙ। এসব কিছু মিলিয়ে ম্যাচের আগেই এমিলিয়ানো হেডলাইন।

কিন্তু দলটা যে ভিন্ন, অ্যাস্টন ভিলা আর পিএসজির শক্তিমত্তার ফারাক ব্যাপক। তবে সেই ব্যবধান চুকিয়ে প্রথমেই অবশ্য এগিয়ে গিয়েছিল অ্যাস্টন ভিলাই। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করেছিলেন ভিলার মর্গান রজার্স। গোলবারে রয়েছে অতন্দ্র প্রহরী, একটা গোল করতে পারলেই দিবু দেখে নেবে বাকিটা- এমন ভাবনাই হয়ত ছিল অ্যাস্টন ভিলার।

কিন্তু প্রতিপক্ষ তো প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। এক বদলে যাওয়া অপ্রতিরোধ্য শক্তি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১২ ম্যাচে দিয়েছিল ২৫ গোল। প্রতি ম্যাচে নিদেনপক্ষে দুই গোল করা দলকে কতক্ষণ আর আটকে রাখা যায়! এমিও পারলেন না। এক এক করে তিনখানা গোল হজম করেছেন তিনি।

৩-১ গোলের পরাজয় বরণ করেছে অ্যাস্টন ভিলা। লুই এনরিকের দলের বিপক্ষে তাদেরই ঘরের মাঠে গোলের ব্যবধান সামান্যই বলা চলে। এখন ভিলা পার্কে কি এমিলিয়ানো ও তার সতীর্থরা এক রুপকথা লেখার অপেক্ষায় থাকবে। কিন্তু পিএসজির এই দুর্দমনীয় শক্তির ঝাপ্টা সহ্য করে টিকে থাকা তো দায়!

Share via
Copy link