এক বছর আগেও রাচিন রবীন্দ্রের নাম শুনেছেন এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন ছিল। অথচ এখন চিত্রটা ঠিক উল্টো, বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর নাম। আর এই পরিবর্তনের পিছনে রয়েছে কেন উইলিয়ামসনের ইনজুরি। হ্যাঁ, বিস্ময়কর হলেও সত্য বটে। ওয়ানডে বিশ্বকাপে উইলিয়ামসনের ইনজুরির কারণেই একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। এরপর বাজিমাত করেছেন চোখের পলকে, টুর্নামেন্ট জুড়ে কিউই অধিনায়কের অভাব বুঝতে দেননি একটুও।
সেবার অবিশ্বাস্য ধারাবাহিক ছিলেন এই তরুণ, প্রায় প্রতি ম্যাচেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন। এরপরের গল্পটাও কাকতালীয়ভাবে একই, ডেভন কনওয়ে চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ায় চেন্নাই সুপার কিংসের ওপেনিংয়ে সুযোগ দেয়া তাঁকে। এবারও সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল হয়নি তাঁর, টিম ম্যানেজম্যান্টের ভরসার প্রতিদান দিয়েছেন দারুণভাবে।
তাই তো আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই বাঁ-হাতির দিকে নজর থাকবে ক্রিকেটপ্রেমীদের। বিশ ওভারের ফরম্যাটে এটি তাঁর প্রথম বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট হলেও তাঁকে ঘিরে প্রত্যাশার কোন কমতি নেই। চেন্নাইকে যেভাবে একের পর এক ম্যাচে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন তিনি, নিউজিল্যান্ডের জার্সিতেও একই দায়িত্ব পালন করতে হবে।
ভারত বিশ্বকাপে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান করেছিলেন রাচিন। তাঁর সামর্থ্য কিংবা প্রতিভা নিয়ে তাই প্রশ্ন থাকার কথা নয় কারো মনেই; তার উপর আইপিএলে তাঁর পারফরম্যান্স প্রত্যাশার বেলুনকে আরও ফুলিয়ে দিয়েছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে ব্ল্যাকক্যাপসদের হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামবেন এই ব্যাটার, পাওয়ার প্লে সুবিধা কাজে লাগিয়ে বড় সংগ্রহের ভিত দেয়াই হবে তাঁর মূল কাজ। টি-টোয়েন্টির আধুনিক যুগে রয়ে সয়ে খেলার সুযোগ নেই বললেই চলে। শুরু থেকেই আগ্রাসনের পথ বেছে নিতে হয়, সেই কাজটা ভালোই জানেন তিনি। এছাড়া বাড়তি পাওনা যে তাঁকে বোলিং অপশন হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে।
অবশ্য আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখনও বলার মত কিছু করেননি এই তারকা। বিশ ম্যাচ খেলে করেছেন ২১৪ রান, ব্যাটিং গড় মাত্র ১৬; অন্যদিকে, উইকেট সংখ্যা মাত্র ১১। তবে কি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়েই পরিসংখ্যানের বেহাল দশা বদলাবেন তিনি? উত্তরটা জানা যাবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই।