টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পরপরই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। তবে একটা প্রশ্ন রেখে গিয়েছিলেন — বিদায়টা কি একটু তাড়াতাড়ি বলে ফেললেন? সেই প্রশ্নটাই এবার তুললেন ভারতের সাবেক ব্যাটার সুরেশ রায়না।
ক্যারিয়ার প্রায় শেষ দিকে, তবুও কোহলি এখনও পুরোপুরি ফিট। তার পারফরম্যান্স, ফিটনেস এবং আগ্রাসন—সব মিলিয়ে এখনও তিনি সেরা। আর তাই তো রায়নার মতে, ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতেই পারতেন বিরাট।
রায়না বলেন, ‘বিরাট একটু তাড়াহুড়ো করেই অবসর নিয়ে ফেলেছে। আমরা ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ওর পারফরম্যান্স দেখেছি। ওর মতো ক্রিকেটারের আরও কিছু বছর খেলা উচিত ছিল।’
বিরাট কোহলির টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার ছিল দুর্দান্ত। ১২৫ ম্যাচে ৪১৮৮ রান, গড় ৪৮.৬৯, একটি সেঞ্চুরি ও ৩৮টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে তার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১২৯২ রানটাও তাঁর। এক আসরে সর্বোচ্চ ৩১৯ রানের রেকর্ডটিও আছে নামের পাশে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে মোট ১৫টি ৫০+ ইনিংস খেলে গড়েছেন নজিরবিহীন রেকর্ড।
আইপিএলেও ধারাবাহিক কোহলির ব্যাট। ব্যাঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামেই ৩৫০০ রান পূর্ণ করেছেন, যা কোনো একক ভেন্যুতে সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে তাঁর মোট রান এখন ১৩ হাজারেরও বেশি। সেঞ্চুরি সংখ্যা নয়টি, গড় ৪০-এর ওপরে। এমন একজন ব্যাটসম্যানের বিদায় কি একটু বেশিই তাড়াহুড়ো করে হলো?
বিশ্বকাপের পর শুধু কোহলি নয়, রোহিত শর্মা ও রবীন্দ্র জাদেজাও টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানিয়েছেন। ভারতীয় ক্রিকেটের এ যেন এক যুগের ইতি। তবে কোহলির মধ্যে এখনও অনেক কিছু বাকি ছিল দেওয়ার।
বিশ্ব ক্রিকেটে কোহলির মতো প্রতিভা বারবার আসে না। পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে যা প্রমাণ করে গেছেন প্রতিনিয়ত। সবকিছুর শেষ আছে, তবে কিছু শেষ মেনে নেওয়াটা একটু কঠিন। তাই বিরাট কোহলি নেই বা থাকবেন না — এটা মেনে নেওয়াটাও সহজ ব্যাপার না, কারণ বিরাট তো ওই একজনই।