অসম্ভবকে সম্ভব করে জিতলেন রাকিবুল-তোফায়েল

এই জয়ে স্বস্তি পেতে পারেন রিপন মণ্ডল। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে শেষ দুই ওভারে এই পেস বোলার একাই হজম করেছেন ৪১ রান। সেই ওভার দু’টো না দক্ষিণ আফ্রিকার রানটা এতটা বড় হয় না। ভাগ্যিস শেষে গিয়ে একটা জুটি দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। তাই তো রাজশাহীবাসী ভেসে যেতে পারল জয়ের আনন্দে।

শেষ ওভারে সব কিছু হল। তোফায়েল আহমেদের লং অফের ছক্কা বাউন্ডারির বাইরে থেকে ফেরালেন দক্ষিণ আফ্রিকান ফিল্ডার। টেলিভিশন আম্পায়ার নেই বললে, সেটা আর দেখা গেল না। তাতেও বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের জয় আটকানো গেল না। দুই বল বাকি থাকতে তোফায়েলের বাউন্ডারিতে জয়ের বন্দরে পৌছায় আকবর আলীর দল।

দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশ দলের করতে হত ১০০-এর মত রান। আকবর আলী এসেই পাল্টা আক্রমণ গড়ে তোলেন। ২৪ বলে ৪১ রান করেন তিনি। যখন আউট হন তখনও জয় থেকে বাংলাদেশ দল ৩৯ রান দূরে। হাতে আছে মাত্র তিন ওভার দুই বল।

রাকিবুল হাসান সেখানে নেমে হয়ে গেলেন অতিমানব। ১০ বল ক্রিজে থেকে ছক্কা হাকালেন তিনটা। অপরাজিত থাকলেন ২৪ রানে। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে গেলেন তোফায়েল আহমেদ। তিনিও করেন ২৪ রান, ২০ বল খেলে। তাঁদের অবিচ্ছিন্ন ৩৯ রানের জুটিতে প্রায় অসম্ভব এক জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।

টপ অর্ডারে ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম রবিন ৮৯ বলে ৮৭ রান করে। তবে, তাঁর এই ব্যাটিং বৃথা যাচ্ছিল বাকিদের জন্য। প্রিতম কুমার, আরিফুল ইসলাম কিংবা আহরার আমিনরা রান রেটের সাথে পাল্লা দিতে ব্যর্থ হন। শেষের দিকে রাকিব-তোফায়েলের জুটিটা না হলে কার্যত জিততেই পারে না বাংলাদেশ।

এই জয়ে স্বস্তি পেতে পারেন রিপন মণ্ডল। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে শেষ দুই ওভারে এই পেস বোলার একাই হজম করেছেন ৪১ রান। সেই ওভার দু’টো না দক্ষিণ আফ্রিকার রানটা এতটা বড় হয় না। ভাগ্যিস শেষে গিয়ে একটা জুটি দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। তাই তো রাজশাহীবাসী ভেসে যেতে পারল জয়ের আনন্দে।

Share via
Copy link