নয় ওভারের ম্যাচে, আস্কিং রানরেট বারোর ওপরে। ব্যাটার তাই শুরু থেকে চড়াও হবেন এমনটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নতুন বল হাতে যখন শেখ মেহেদী, তখন স্বাভাবিক ব্যাপারটাই অস্বাভাবিক হয়ে যায়। তাঁর ওপর চড়াও হওয়া তো দূরে থাক, উইকেট বাঁচিয়ে রাখতেই হিমশিম খেয়েছে লাহোর কালান্দার্স। নিজের প্রথম ওভারে দুই উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। তাঁর ওভারে রান আউটের ঘটনাও ঘটেছে – সবমিলিয়ে প্রথম ওভারেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে রংপুর রাইডার্সের দখলে।
ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারেও দারুণ বোলিং করেছেন এই ডানহাতি, আউট করেছেন মুহাম্মদ আখলাককে। সবমিলিয়ে এদিন দুই ওভার হাত ঘুরিয়ে তিন উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন তিনি, বিনিময়ে খরচ করেছেন স্রেফ এগারো রান। তাতেই ডু অর ডাই ম্যাচ জিতে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল।
কেবল মেহেদী নন, রংপুরের জয়ে অবদান আছে আরো কয়েক বাংলাদেশীর। ম্যাচের প্রথমেই তো উড়ন্ত সূচনা এনে দেয়ার কাজটা করেছেন সৌম্য সরকার। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে আগে ব্যাটিং করতে নেমে চার ছক্কার মারে মুগ্ধ করেছেন তিনি। আউট হওয়ার আগে তিন চার ও এক ছয়ের সাহায্যে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ বলে ২২ রান।
এই বাঁ-হাতির বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন আরেক টাইগার তারকা, একাদশে ফেরা সাইফ হাসান এতদিন বেঞ্চে বসে থাকার ঝাল মিটিয়েছেন প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর। বাইশ গজে এসেই তিনি তুলোধুনো করেছেন তাব্রাইজ শামসী, ফাহিম আশরাফদের।
শেষপর্যন্ত ১৪ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন সাইফ; এছাড়া স্টিভেন টেইলরের ব্যাট থেকে এসেছে ২৭ বলে ৩২ রান। তাতেই ৮৫ রান করতে সক্ষম হয়, টিম রাইডার্স আর ডিএলএস মেথডে লাহোরের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১১১ রান।
বাকি কাজ বোলাররা ঠিকঠাকভাবেই করেছে; মেহেদীর বীরত্বের পাশাপাশি আগের ম্যাচের নায়ক কামরুল ইসলাম রাব্বি পেয়েছেন এক উইকেট। ইংলিশ তারকা জ্যাক চ্যাপেল নিয়েছেন আরো দুই উইকেট। তাঁদের মিলিত পারফরম্যান্সে ৮৭ রানেই থেমে যায় লাহোর, ফলতঃ ২৩ রানের জয় পায় টাইগার প্রতিনিধিরা।