টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই আগ্রাসী ব্যাটিং, আর আইপিএলের মতো জমজমাট টুর্নামেন্টে সেটা আরও ভয়ংকর রূপ নেয়। ব্যাটারদের শটের ফুলঝুরিতে কখনো কখনো খ্যাতনামা বোলাররাও হয়ে পড়েন অসহায়।
তেমনই এক পরিসংখ্যানে, আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হজম করা বোলারদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন আফগানিস্তানের রশিদ খানসহ চারজন তারকা বোলার। তালিকার শীর্ষে রয়েছেন ভারতের পেসার মোহাম্মদ সিরাজ।
২০২২ আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে খেলে তিনি হজম করেন সর্বোচ্চ ৩১ টি ছক্কা। ডেথ ওভারে বোলিং করার কারণে তিনি বেশিরভাগ সময় ব্যাটারদের আগ্রাসী মেজাজের শিকার হয়েছেন। যদিও মাঝে মাঝে উইকেট পেয়েছেন, তবে ছক্কার বৃষ্টিতে তার ইকোনমি রেট ছিল সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
এই একই সংখ্যক ছক্কা হজম করে ২০২৫ আইপিএলে তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আফগানিস্তানের রশিদ খান। আইপিএলের অন্যতম সফল স্পিনার হিসেবেই তার পরিচিতি, তবে এবারের আসরে তিনি যেন নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন।
চিরচেনা গুগলি বা লেগস্পিন যেন অনেকটা বেইমানি করেছে রশিদের সাথে। ৩১টি ছক্কা হজম করে তিনি এই লজ্জার রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন সিরাজের সঙ্গে। এই পরিসংখ্যান রশিদ খানের নামের সাথে একেবারেই বেমানান।
তালিকার তৃতীয় নাম ভারতের লেগস্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল। ২০২৪ সালের আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলে তিনি হজম করেছেন ৩০টি ছক্কা। খরুচে হলেও উইকেট তোলায় পারদর্শী তিনি, তবুও এই লজ্জার রেকর্ডেও নিজের নামটা তুলেছেন।
তালিকার চতুর্থ নাম শ্রীলঙ্কার স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ২০২২ আইপিএলে তিনিও হজম করেন ৩০টি ছক্কা। মিডল ওভার গুলোতেই তাঁর উপর ভরসা রেখেছিল ব্যাঙ্গালুরু, তবে লজ্জার রেকর্ডে নিজের সাথে ডুবিয়েছেন দলকেও।
বর্তমান ক্রিকেটের ২২ গজ এখন ব্যাটারদের স্বর্গরাজ্য। যেখানে বোলারদের রীতিমতো যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হয়। এই পরিসংখ্যান যেন সে কথাই বলে দিচ্ছে।