ভুবনেশ্বর- হ্যাজেলউড জুটিই কি আইপিএলের সবথেকে ভয়ঙ্কর নতুন বলের জুটি? চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষের ম্যাচ শেষে পুরনো সেই প্রশ্ন জেগেছে নতুন করে। সুইং, বাউন্স, একুরেসি, মস্তিষ্কের ব্যবহার, এই চার মিলিয়ে ভুবি-জশ জুটি নাজেহাল করে ছেড়েছেন চেন্নাইয়ের টপ অর্ডার।
রান বন্যার আইপিএলে, রান দিতে যতটা কঞ্জুসি করেছেন, উইকেট তুলে নেয়ার ক্ষেত্রে দেখিয়েছেন ঠিক ততটাই মুন্সিয়ানা। ভুবি-জশই কি ব্যাঙ্গালুরুর শিরোপা জয়ের মিসিং লিংক? সাধারন পেস, হালকা সুইং, অতিরিক্ত বাউন্স, জশ হ্যাজলউডের ভান্ডার এতটুকুই।
তবে, লাইন লেন্থের ধারাবাহিকতা বলের ওপর। তিনি জানেন, তিনি কি করতে যাচ্ছেন; তিনি যেভাবে চান সেভাবেই করতে পারেন। আর এভাবেই একরকম বলে কয়ে এই পেসার ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছেন চেন্নাই সুপার কিংসকে।
নতুন বল হাতে তাঁর দাপট দলটার টপ অর্ডারকে দাঁড়াতেই দেয়নি; ওপেনার রাহুল ত্রিপাঠী আর অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কড়কে নিজের প্রথম ওভারেই ফিরিয়েছেন তিনি। অবশ্য পরিসংখ্যান দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো এমন কিছু হতে যাচ্ছে, এ ম্যাচের আগে ত্রিপাঠীকে ১৩ বল করে দুইবার আউট করেছিলেন হ্যাজলউড; আবার রুতুরাজকেও সমান দুইবার আউট করেছিলেন তিনি।
সবমিলিয়ে এদিন অজি তারকা নতুন বলে দুই ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ছয় রান খরচ করেছেন। শুরুর দিকে তাঁর এমন বোলিং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে এগিয়ে দিয়েছে অনেকখানি। হালকা চোটের সাথে লড়তে থাকা ভুবনেশ্বর কুমারও ফিরেছেন এই ম্যাচ দিয়েই।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটা এখন আর খেলেন না, গতিও হারিয়েছেন অনেকটাই। একটানা তিন ওভার বল করেছেন, দেখিয়েছেন তার বিখ্যাত সিম পজিশন, সিম মুভমেন্ট আর অ্যাকুরেসির মুন্সিয়ানা। দিয়েছেন কেবল বিশ রান, বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন দীপক হুদার উইকেট।
ভাগ্যিস! আউটসাইড এবং ইনসাইড এজ সূত্রে দুটো বাউন্ডারি পেয়েছিলো সিএসকে। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম পাওয়ার প্লে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, চলতি আসরে ব্যাঙ্গালুরু এদিকটায় দুর্দান্ত অবস্থানে আছে। হ্যাজলউড-ভুবি জুটিকে ঠিকঠাক ব্যবহার করতে পারলে এগিয়ে থাকা সম্ভব; প্রতিপক্ষ ফিল্ড রেস্ট্রিকশনের সুবিধা নেয়া তো দূরে থাক, রান করতেই হিমশিম খাবে।
প্রায় প্রতিবার বোলিং লাইনআপ ব্যাঙ্গালুরুর জন্য অভিশাপ হয়ে আসে। এবারের আসর সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী কিছু হতে যাচ্ছে, অন্তত সকালের সূর্য সেই বার্তাই দিয়েছে। এখন দেখার বিষয় পুরো দিন কেমন কাটে।