রিয়ালে ফিরলেন রোনালদো

অবশ্য এদিন কম যাননি আরেক তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেও, বুলেট শটে তিনিও মনে করিয়ে দিয়েছেন পূর্বসুরীদের। প্রতিপক্ষের ভুল পাসের সুবাদে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার গায়ে লেগে বল চলে এসেছিল তাঁর পায়ে।

সেন্টার পজিশন থেকে কোনাকুনি দৌড়ে রাইট উইংয়ে, দৌড়ের মধ্যেই বল রিসিভ করে গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া অতঃপর ঠান্ডা মাথার ফিনিশিং – এল ক্লাসিকোতে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর আইকনিক গোলটার কথা ভোলার কথা নয় কারোই। তবু কেউ যদি ভুলে যান, সেজন্যই বোধহয় হুবহু একই ঢংয়ে সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে গোল করে বসলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র!

ম্যাচের তখন ৬৫ মিনিট, স্কোরবোর্ডে সমতা। বদলি হিসেবে একটু আগেই নামা লুকা মদ্রিচের পায়ে বল আসতেই সেল্টার ডিফেন্স ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে যান ভিনি, মদ্রিচও চোখের পলকে বল পৌঁছে দেন তাঁর কাছে। বাকি কাজ সাম্বা বয় করেছেন একেবারে রোনালদোর ভঙ্গিতে – তারপরই অ্যাবাঙ্কা বালাইদোস স্টেডিয়ামে দেখা যায় তাঁর নাচের মুদ্রা।

যদিও এদিন কম যাননি আরেক তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে, বুলেট শটে তিনিও মনে করিয়ে দিয়েছেন পূর্বসুরীদের। প্রতিপক্ষের ভুল পাসের সুবাদে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার গায়ে লেগে বল চলে এসেছিল তাঁর পায়ে।

কেউ প্রেস না করায় সময় আর স্পেস দুটোই পেয়ে যান ফরাসি তারকা, আর কোন কিছু না ভেবেই সরাসরি টপ কর্নার দিয়ে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি।

এই গোলের পর স্বাগতিকরা অবশ্য ম্যাচে ফিরেছিল, বিরতির পর পরই সমতাসূচক গোলের দেখা পান উইলিয়াম ওয়েডবার্গ। যদিও ভিনি ম্যাজিকে ম্লান হয়েছে সবকিছু। অবশ্য আরো আগেই গোল করা উচিত ছিল তাঁর, ৩৯ মিনিটের সময় ফ্রি হেডার পেয়েও মিস করেছেন তিনি। আবার বল জালে জড়িয়েও অফসাইডের জন্য বাতিল হয়েছে একবার।

একই ঘটনা ঘটেছে সেল্টার সঙ্গেও, প্রথম গোল হজমের পর পরই শোধ দিয়েছিল তাঁরা। কিন্তু অফসাইড ট্র্যাপে আটকা পড়ে দলটি। অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ড্রয়ের পর এই নিয়ে টানা দুই ম্যাচ জিতলো লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। তাতেই পয়েন্টের ব্যবধান কমেছে বার্সেলোনার সঙ্গে।

Share via
Copy link