রিয়াল মাদ্রিদকে পেলেই সত্যিকারের ভলকানো হয়ে উঠে রায়ো ভায়োকানো। কাগজে-কলমে পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও দুই দলের শেষ চার দেখায় একটা জয়, দুইটা ড্র আদায় করে নিয়েছে তাঁরা। এবার আরো একবার তাঁদের মুখোমুখি হলো রিয়াল, ছয় গোলের রোমাঞ্চ শেষে অবশ্য পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে।
অথচ শুরুটা স্বপ্নের চেয়ে দারুণ ছিল রায়ো ভায়োকানোর। ম্যাচের স্রেফ তিন মিনিট পেরিয়েছিল যখন, ঠিক তখনি রাইট উইং ধরে আক্রমণে উঠে আসেন জর্জ ডি ফ্রুটোস। অত:পর তাঁর ক্রস থেকেই জোরালো হেডারে গোল আদায় করে নেন উনাই লোপেজ।
খানিকটা বিরতি দিয়ে আবারো প্রায় একই দৃশ্য, এবার কর্নার থেকে ক্রস এবং গোল। ফাঁকায় দাঁড়ানো আবদুল মুমিন এদিন দলের লিড দ্বিগুণ করেছিলেন – দুই গোলে এগিয়ে জয়ের আশা করতে লেগে গিয়েছিল দলটি, অন্যদিকে আকাশসম চাপে পড়ে যায় লস ব্ল্যাঙ্কোসরা।
যদিও তাতে দমে যায়নি রিয়াল মাদ্রিদ, দমে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। প্রত্যাবর্তনের যাত্রা শুরু করেন ফেদেরিকো ভালভার্দে নিজেই। ডি বক্সের অনেক বাইরে থেকে বিদ্যুৎ গতির শট নেন তিনি, অন্তত ৩৫ গজ দূর তো হবেই। তবু প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক গোলটা ঠেকানোর জন্য কিছু করার সুযোগই দেয়নি। নিজের শক্তির পুরোটা দিয়েই হয়তো মেরেছিলেন উরুগুইয়ান তারকা।
বিরতির ঠিক আগে সমতায় ফেরে অল হোয়াইটরা, এবার স্কোরবোর্ডে নাম তোলেন জুড বেলিংহ্যাম। রদ্রিগোর ক্রস ডি বক্সে পৌছাতেই লাফিয়ে উঠে বল জালের ঠিকানায় পাঠান তিনি। এই নিয়ে লা লিগায় সবশেষ ছয় ম্যাচে টানা গোল করেছেন এই তরুণ।
শেষদিকে দুই দলই আরো একটা করে গোল করেছে, রদ্রিগোর দূরপাল্লার শট পরাস্ত করে গোলরক্ষককে। তবে জেতা হলো না কারোই, ইসি পালাজন দলকে এনে দেন গুরুত্বপূর্ণ এক পয়েন্ট।
এর ফলে বার্সেলোনাকে পিছনে ফেলার সুযোগ আবারো হাতছাড়া হলো। এদিন জিতলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে এক পয়েন্ট বেশি থাকতো রিয়ালের, কিন্তু আপাতত এক পয়েন্ট কম নিয়েই থাকতে হচ্ছে।