নতুন বল হাতে শাহীন শাহ আফ্রিদি প্রতিপক্ষকে ধসিয়ে দিবেন একটা সময় এটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু ইনজুরি আর ক্যাপ্টেন্সি ইস্যুতে এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল তাঁর স্বাভাবিক ছন্দ, ছায়া হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে অস্ট্রেলিয়া সফরে আবারো ঘুরে দাঁড়ানোর সুর শোনা গেল তাঁর বোলিংয়ে; সেই পুরনো ধার ফিরলো তাঁর বোলিংয়ে।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে জেক ফ্রেসার ম্যাকগার্ককে আউট করেন এই বাঁ-হাতি। মিডল স্ট্যাম্প লাইনে পিচ করা বল খানিকটা ইনসুইংয়ের সুবাদে পরাস্ত করে অজি তরুণকে, একেবারে প্লাম্ব এলবিডব্লু। শুরুর স্পেলে একজন পেসারের কাছ থেকে যেমন ডেলিভারি আপনি আশা করেন ঠিক সেরকম কিছুই ছিল।
এক ওভারের বিরতি কাটিয়ে আবারো স্কোরবোর্ডে নাম তোলেন এই পেসার, অফ স্ট্যাম্পের কিছুটা বাইরে ঝুলিয়ে দেয়া বল ছিল ড্রাইভ খেলার প্রলোভন। সেই প্রলোভনে পা দিয়ে ম্যাথু শর্ট ক্যাচ তুলে দেন কভার পয়েন্ট অঞ্চলে দাঁড়ানো বাবর আজমের হাতে। শুধু উইকেটের জন্য নয়, পুরো স্পেল জুড়েই তিনি আতঙ্ক ছড়িয়েছিলেন।
ডেথ ওভারেও দুর্দান্ত ছিলেন শাহীন শাহ; প্রথম স্পেলে ছয় ওভারে ২৩ রান খরচ করেছিলেন তিনি, একটা মেডেন ওভারও পেয়েছেন। এরপর দ্বিতীয় স্পেলে দুই ওভার হাত ঘুরিয়ে দিয়েছেন মাত্র তিন রান, সেই সাথে বোল্ড করেছেন অ্যাডাম জাম্পাকে।
প্রতিপক্ষের টপ অর্ডারের ঘাতক হয়ে ওঠা এই তারকার জন্য নতুন কিছু নয়, তবে মাঝের দুঃসময় কাটিয়ে তাঁর চিরচেনা রূপে ফেরাটা নিশ্চিতভাবেই সমর্থকদের জন্য স্বস্তির। সেই সাথে স্বস্তি পাবে পাকিস্তানের টিম ম্যানেজম্যান্টও। পেস বিভাগের ফর্মে ফেরাটা তাঁদের জন্য বিশাল একটা ব্যাপার।
বিশেষ করে শাহীনের ফেরাটা জরুরী ছিল পাকিস্তানের জন্য, নতুন বলে কাগিসো রাবাদা কিংবা জাসপ্রিত বুমরাহ যে দায়িত্ব পালন করেন নিজের দলের জন্য তাঁর কাছেও প্রত্যাশা সেটা। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার কোন বিকল্প নেই তাঁর সামনে।