ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপটা মোটেই ভাল যায়নি জশ বাটলারের। নয় ইনিংসে মোটে ১৩৮ রান করেছিলেন তিনি; গড় ছিল স্রেফ ১৫.৩৩। পুরো বিশ্বকাপে একটা হাফ-সেঞ্চুরিও দেখা যায়নি তাঁর ব্যাটে। সেই ব্যর্থতার রেশ ধরে রেখেছিলেন আইপিএলের শুরুতে, রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে প্রথম তিন ম্যাচে করেছিলেন ৩৫ রান।
কিন্তু অফ ফর্ম আর দীর্ঘ করেননি এই ব্যাটার; সমালোচকরা যখন কেবল ব্যঙ্গ বিদ্রূপের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো তখনই তাঁদের থামিয়ে দিয়েছেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৫৮ বল খেলেই শতক পূর্ণ করেছেন তিনি। এমন ইনিংসে ভর করেই সহজ জয় পেয়েছে তাঁর দল।
১৮৪ রান তাড়া করতে নেমে এই ওপেনার শুরুটা করেছিলেন রয়ে-সয়ে, তবে ষষ্ঠ ওভারে দাগারের ছয় বল থেকে বিশ রান তুলে নেন তিনি। সেই ওভারটাই মুহূর্তে মাঝে তাঁর ব্যাটিংয়ে প্রাণ ফিরিয়ে এনেছিল, লম্বা সময়ের ব্যর্থতা ঝেড়ে আত্মবিশ্বাসী সব শটের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন তখন।
মাত্র ৩০ বলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন ইংলিশ ক্রিকেটার। ফিফটি করলেও দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়নি জানতেন তিনি, তাই তো অহেতুক ঝুঁকি না নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় খেলেছেন বাকিটা সময়। নিয়মিত স্ট্রাইক রোটেট করেছেন, সেই সাথে সুযোগ পেলেই মেরেছেন বাউন্ডারি।
শেষদিকে, অবশ্য সমীকরণ জটিল হয়ে উঠেছিল; না, রাজস্থানের জয় নিয়ে সংশয় ছিল না মোটেই। বরং দলের জয় পাওয়ার আগে এই তারকা সেঞ্চুরি করতে পারবেন কি না সেটাই দেখার বিষয়। বিশতম ওভারের প্রথম বলে আসে চূড়ান্ত ফলাফল, জয়ের জন্য তখন এক রান লাগতো এবং তিন অঙ্কের ঘর থেকে তিনি ছিলেন ছয় রান দূরে। ক্যামেরন গ্রিনকে ছক্কা মেরে দুটো লক্ষ্যই পূরণ করেছিলেন এই ডানহাতি।
আগের ইনিংসে শতকের দেখা পেয়েছিলেন বিরাট কোহলি, পরের ইনিংসে জস বাটলার। কিন্তু বাটলারের দল সহজ জয়ই পেয়েছে – রহস্যটা লুকিয়ে আছে দু’জনের রান তোলার গতিতেই। একশ রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে কোহলির লেগেছিল ৬৭ বল, অন্যদিকে ইংল্যান্ড দলপতি ৫৮ বলেই পৌঁছে গিয়েছিলেন সেখানে।
জশ বাটলাররা আসলে এমনি, একবার বাইশ গজে আসন পেতে বসলে হয়ে ওঠেন বিধ্বংসী আর অপ্রতিরোধ্য। দলের জয় নিশ্চিত না করে ফেরেন না তাঁরা।