সারা টুর্নামেন্ট জুড়ে ভক্ত-সমর্থক কিংবা সাবেক খেলোয়াড়দের আক্রমণের শিকার হয়েছে সিদ্ধান্ত। সিদ্ধান্ত, যা নিয়েছেন বিভিন্ন দেশের রেফারিরা। কিছু ঠিক, কিছু ভুল সিদ্ধান্ত। কিন্তু দিনের শেষে ঠিকগুলো আর চোখে পড়ে না কারুর। ভুল হলেই অবশ্য পত্রপাঠ বাড়ি পাঠানো।
এই ঠিক সিদ্ধান্তগুলির জন্য অন্তত, একটু ধন্যবাদ তো প্রাপ্য এঁদের। সকলেই পিয়ের লুইগি কলিনার মত সার্বিক সম্ভ্রম আদায় করে নেন না। তবে লুসাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে যে ভদ্রলোক রেফারিং করলেন, তাঁর নামটা মনে রাখা দরকার সিজিমন মারচিনিয়াক। ভদ্রলোক পোল্যান্ডের।
গত কোভিড প্রথম তরঙ্গে অসুস্থ হবার পর ট্যাকিকার্ডিয়ায় অসুস্থ হয়েছিলেন। হৃৎস্পন্দনের গতি দ্রুত হয়ে পড়েছিল। অ্যাক্টিভ রেফারিং-এ ফিরে আসাটাই একটা চমক। কিন্তু ফুটবলটা গুরুত্বপূর্ণ, সিদ্ধান্ত নয়। এই দর্শনে বিশ্বাসী এই রেফারি কাল বেশ কিছু চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ভুল ধরতে বসলে বলা যায় যে আকুনাকে অতিরিক্ত সময়ে হলুদ কার্ড দেখাতে গিয়ে তিনি কোমানকে অ্যাডভান্টেজ দেননি। অথবা, ফ্রান্সের প্রথম পেনাল্টিটার ক্ষেত্রে ওটামেন্ডিকে লাল কার্ড দেখাতে পারতেন। কিন্তু তাতে হয়তো খেলাটা নষ্ট হত। লোকে রেফারিং নয়, খেলা দেখতেই এসেছেন। খুব খারাপ কিছু না হলে খেলাটাকে নষ্ট করার কোনও মানে হয় না।
তিনটে পেনাল্টি দেওয়ার এবং একটা পেনাল্টি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত একদম স্পটঅন। হাইভোল্টেজ ম্যাচ কখনই হাতের বাইরে না করার জন্যও একটা ধন্যবাদ প্রাপ্য। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লাগাম কীভাবে নিজের হাতে রাখতে হয় সেটা দেখিয়ে দিয়ে গেলেন সিজিমন মারচিনিয়াক।