১৯৮৭ সাল, ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল। ম্যাচের এক পর্যায়ে পরাক্রমশালী অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে মাত্র ১২০ রান প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। কিন্তু দলটির অধিনায়ক রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে উইকেট দিয়ে বসেন, এরপর তাসের ঘরের মত ভেঙে যায় তাঁদের ব্যাটিং লাইন আপ। একটা ভুল শটের কারণে ইংলিশদের বিশ্ব জয়ের অপেক্ষা বেড়েছিল ৩২ বছর।
বর্তমানে ফেরা যাক, ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ইনিংস ব্যবধানে পরাজয় এড়ানোর লক্ষ্যে খেলছিল ইংল্যান্ড। হঠাৎই দলটির ব্যাটার অলি পোপ কাউন্টার এটাক শুরু করেন, তাঁর এই ট্যাকটিক্স কাজেও দেয়। ১৯৬ রান করে দলকে অসম্ভব এক জয়ের সুযোগ করে দেন তিনি – আর পুরোটা সময় রান করার জন্য রিভার্স সুইপ খেলে বেড়িয়েছেন এই তরুণ।
‘৮৭ এর বিশ্বকাপে যেটা ছিল ভুল শট সেটাই এবার ইংলিশদের উপমহাদেশে সবচেয়ে স্মরণীয় জয় উপহার দিল। এখানে কোন রহস্য নেই, জলের মত সরল ব্যাপার। ব্যর্থতার ভয় ভুলে যেকোনো উপায়ে রান করতে পারাটাই এখন বেন স্টোকসদের ধ্যান ধারণা।
পোপ বলেন, ‘ভারতীয় স্পিনাররা অত্যন্ত দক্ষ। আপনি যদি প্রতিটি বল শট না খেলে ডিফেন্ড করার চেষ্টা করেন, তাহলে বোধহয় আউট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আমরা এখানে আসার আগে আমাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে ক্রস ব্যাটের শটগুলো (সুইপ/রিভার্স সুইপ) অনুশীলন করেছিলাম। আমার মনে হয় এসব ক্ষেত্রে সাহসী হতে হয়।’
সেক্ষেত্রে ভারত বিকল্প পন্থা হিসেবে কি করতে পারে? উত্তরটা অবশ্য বাতলে দিয়েছেন স্পিন কিংবদন্তি অনিল কুম্বলে। তিনি বলেন, ‘কুলদীপের রিস্ট স্পিন বোলিং আক্রমণে নতুন মাত্রা আনে। ভারতে ইতিমধ্যেই অফ স্পিনার অশ্বিন এবং বাঁ-হাতি অক্ষর রয়েছে, তাই কুলদীপকে অবশ্য একাদশে নিতে হবে।’
ফিঙ্গার স্পিনারদের বিপক্ষে দারুণ সাফল্য পাওয়া রুট, পোপদের পরবর্তী ম্যাচে হয়তো মুখোমুখি হতে হবে চায়নাম্যান কুলদীপের বিপক্ষে। এখন দেখার বিষয়, তাঁর জাদুকরী বোলিং কিভাবে সামলান ‘বাজবল’ এর শিষ্যরা।