সেঞ্চুরির ক্লাবে পদার্পণ রিকেল্টনের

রায়ান রিকেল্টন এবছর সাউথ আফ্রিকার হয়ে খেলা অষ্টম খেলোয়াড় যিনি টেস্ট সেঞ্চুরি করতে সক্ষম হয়েছেন। যখন তিনি ৯৮ এর কোঠায় তখন সবাই ভেবেছিলেন তার সাজঘরে ফেরার সময় হয়ে গেছে। আম্পায়ার জোয়েল উইলসন রিকেল্টনকে আউট বলে ঘোষণা করেন। যার ফলে সবাই মনে করেছিলেন তার হয়তো সেঞ্চুরি করার যাত্রাটি এখানেই শেষ।

রায়ান রিকেল্টন এবছর সাউথ আফ্রিকার হয়ে খেলা অষ্টম খেলোয়াড় যিনি টেস্ট সেঞ্চুরি করতে সক্ষম হয়েছেন। যখন তিনি ৯৮ এর কোঠায় তখন সবাই ভেবেছিলেন তার সাজঘরে ফেরার সময় হয়ে গেছে। আম্পায়ার জোয়েল উইলসন রিকেল্টনকে আউট বলে ঘোষণা করেন। যার ফলে সবাই মনে করেছিলেন তার হয়তো সেঞ্চুরি করার যাত্রাটি এখানেই শেষ।

সব ব্যাটারই খেলার সময় মোটামুটি বুঝতে পারে যে বলটি তার ব্যাটের কানায় লেগেছে কিনা। কিন্তু রিকেলটন এই বিষয়ে কিছুটা দ্বিধায় ছিলেন। যার ফলে তিনি রিভিউ নিতে বেশ কিছুটা সময় নিয়েছিলেন। তবে সময় শেষ হওয়ার আগেই তিনি আম্পায়ারের কাছে রিভিউ চেয়ে বসলেন। আম্পায়ারের মতও রিকেল্টনের পক্ষেই গেল। রাইকেল্টন সাজঘরে ফিরে যাওয়া থেকে বেঁচে গেলেন সেই যাত্রায়।

ঠিক দুই বল পরেই রিকেল্টন দুই রানের লক্ষ্যে দৌড়ান এবং তার সেঞ্চুরি পূরণ করতে সক্ষম হন। তার এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে তিনি তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করতে সক্ষম হন। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রমবর্ধান এবছরের টেস্ট সেঞ্চুরি করা ক্লাবের সদস্য বনে যান তিনি।

ম্যাচ শেষে তাকে প্রশ্ন করা হয় তিনি ব্যাটে বল লাগাতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন কিনা? তার উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতেই পারিনি যে ব্যাটে বল লেগেছিল। হ্যা আমার ভাগ্য কিছুটা সহায় ছিল। যার কারণে ব্যাটে আলতো ছোঁয়া লেগেছিল বলের। আমি রিভিউ নিয়েছিলাম কারণ ৯৮রানে ছিলাম বলে। আমি চিন্তা করছিলাম যদি কোনোভাবে ভাগ্য আমার সহায় হয় তাহলে হয়তো বেঁচে যেতে পারি। আমি ভাগ্যবান ছিলাম। কিন্তু আমি বিন্দু পরিমাণ বুঝতে পারিনি যে বলটি ব্যাটে লেগেছিল।’

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে উইয়ান মুলদের তার হাতের আঙুলে চোট পান। লাহিরু কুমারার করা বলটি এসে সজোরে আঘাত করে তার হাতের মধ্যাঙ্গুল। তখন তিনি ৭৫ রানের কোঠায় ছিলেন। তার এই চোট মেডিকেল দলকে মাঠে আসতে বাধ্য করে। তার এই চোটের কারণেই পরবর্তী টেস্টে রিকেল্টন সুযোগ পায় দলে।

মাল্ল্ডারের দল থেকে ছিটকে পড়া এবং রিকেল্টনের দলে যোগদান করা সাউথ আফ্রিকার জন্য একটি চমৎকার পরিণতি হিসেবে দেখা দিয়েছে। টিকেলটন দলে এমন সুযোগ পাওয়ার ফলেই তিনি একটি অসাধারণ ইনিংস খেলতে সক্ষম হয়েছেন। তার এই অর্জন তার ক্যারিয়ারে যোগ করেছে এক নতুন মাত্রা।

রিকেল্টনের এই ইনিংস প্রমাণ করে, প্রতিটি সুযোগই একজন খেলোয়াড়ের জন্য নিজেকে প্রমাণ করার মঞ্চ হতে পারে। মাল্ল্ডারের চোট আমাদের জন্য দু:খজনক ছিল, তবে রিকেল্টন তার সেরাটা দিয়ে দেখিয়েছে যে দলে গভীরতা এবং প্রতিভা সবসময়ই আছে।

 

Share via
Copy link