একটা ‘অরা’ সৃষ্টি করে গেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তার সমকক্ষ কেউ সম্ভবত কোন দিনই হতে পারবে না। ভারতের জার্সিতে তিনি সব শিরোপাই জিতেছেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মঞ্চেও অন্যতম সফল অধিনায়ক তিনি। তার উত্তরসূরী হিসেবে ইতোমধ্যেই শ্রেষ্ঠত্বের পথে হাটতে শুরু করেছেন ঋষাভ পান্ত।
১১১টি আইপিএল ম্যাচ খেলে ফেলেছেন ঋষাভ। ধোনির পথে কতটুকু রয়েছেন তিনি সেটা পরিসংখ্যানের হিসেব কষলেই বেড়িয়ে আসবে দিনের আলোর মত। এক্ষেত্রে অবশ্যই আইপিএলে ধোনির প্রথম ১১১ ম্যাচের পরিসংখ্যানই প্রাধান্য পাচ্ছে।
ঋষাভের ঝুলিতে এই মুহূর্তে রয়েছে ৩২৮৪ রান। ১১০ খানা ইনিংসে ব্যাট হাতে তিনি নেমেছিলেন বাইশ গজে। অপরদিকে ৯৮ ইনিংসে ব্যাট করবার সুযোগ পেয়েছিলেন ধোনি। সেই ইনিংসগুলো থেকে ২৫৭৩ রান সংগ্রহ করতে পেরেছেন। কোন সেঞ্চুরির দেখা ধোনি না পেলেও ঋষাভ ঠিকই সেঞ্চুরি করেছেন একটি। ঋষাভের ফিফটি রয়েছে ১৮টি, অন্যদিকে ধোনির রয়েছে ১৪টি ফিফটি।
এদিক বিবেচনায় ধোনির থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছে ঋষাভ। কিন্তু ইম্প্যাক্টের দিক থেকে এগিয়ে আছেন আবার মহেন্দ্র সিং ধোনি। দলের জয়ের ম্যাচে ধোনির ব্যাটিং গড় ছিল ৪৮.৯০। অন্যদিকে এখন অবধি দলের জয়ে ঋষাভের ব্যাটিং গড় ৩৮.৫৮।
দলের জয়ের ম্যাচে ধোনি স্ট্রাইকরেট যেখানে ছিল ১৫৫.২০, সেখানে ঋষাভের স্ট্রাইকরেট ১৫৯.৬৭। স্ট্রাইকরেটে খুব বেশি পার্থক্য না থাকলেও গড়ে পার্থক্য রয়েছে বেশ খানিকটা। এদিক বিবেচনায় নিশ্চিতরুপেই এগিয়ে রয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। দিনশেষে দলের জয়টাই তো মুখ্য বিষয়।
যেহেতু তারা দুইজনই উইকেটরক্ষক, সেহেতু ম্যাচে তাদের অবদান রাখার সুযোগও বেশি। নিজের খেলা প্রথম ১১১টি আইপিএল ম্যাচের পর ধোনি ক্যাচ দস্তানায় আটকে ফেলেছেন ৪৭টি। এই পরিসংখ্যানে প্রায় দেড়গুণ বেশি ক্যাচ ধরেছেন ঋষাভ পান্ত। ৭২টি ক্যাচ রয়েছে ঋষাভের নামের পাশে। স্ট্যাম্পিংয়ের দিক থেকেও ঋষাভ এগিয়ে, ২৫ বার তিনি বেলস উপড়ে ফেলেছেন উইকেটের পেছন থেকে। ধোনি ১৯ দফা এই কার্য সম্পাদন করেছেন।
পরিসংখ্যানের এই লড়াই শেষে, বলা যায় যে ঋষাভ শুধু সঠিক পথে নয়, তিনি অনেকটা পথ এগিয়ে রয়েছেন বটে। কিন্তু দিনশেষে অর্জন কথা বলে সবচেয়ে বেশি। ঋষাভের সেই অর্জনের খাতাটা এখনও যেন কেমন খালি খালি। ব্যক্তিগত নৈপুন্যে ধোনিকে মাত দেওয়া গেলেও, অধিনায়ক ধোনিকে হারানো যোজন যোজন দূরের ধ্রুবতারা হাসিলের শামিল।