ফাইনাল গড়পড়তা হলেও, রিশাদের হয়েছে দারুণ অভিজ্ঞতা

পিএসএল ফাইনালে প্রথম দুই ওভারে ২৬ রান খরচা করেন রিশাদ। ক্যারিয়ারের এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিনি খানিকটা হয়ত স্নায়ুচাপে ভুগছিলেন।

ফাইনালের মঞ্চে বেধম প্রহার হজম করলেন রিশাদ হোসেন। যদিও সেই পরিস্থিতি থেকে শেষের দিকে নিজেকে সামলে নিয়েছেন। কিন্তু মনে রাখার মত একটা সময়ই পার করেছেন রিশাদ। পাকিস্তান সুপার লিগই যে তার ক্যারিয়ারের প্রথম ভিনদেশি কোন টুর্নামেন্ট।

পিএসএল ফাইনালে প্রথম দুই ওভারে ২৬ রান খরচা করেন রিশাদ। ক্যারিয়ারের এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিনি খানিকটা হয়ত স্নায়ুচাপে ভুগছিলেন। স্নায়ুর উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে কালক্ষেপন হলেও, নিজের কোটার শেষ ওভারে দারুণভাবে প্রত্যাবর্তন করেছেন তিনি।

রিশাদ নিজেকে সামলে নেওয়া শুরু করেন তৃতীয় ওভারের শেষ বলে। আভিস্কা ফার্নান্দোকে নিজের ঘূর্ণির ফাঁদে ফেলে আউট করেন তিনি। এরপর শেষ ওভারে তার খরচা মাত্র পাঁচ রান। বড় ম্যাচের চাপ সংবরণ করার এই দীক্ষাটাও পেয়ে গেলেন রিশাদ। এমন প্রয়োজনীয় সব অভিজ্ঞতা যুক্ত হল তার স্মৃতিতে। এই অভিজ্ঞতাও তো আর কম নয়!

তাছাড়া এবারের মৌসুম তার কেটেছেও দূর্দান্ত। সাত ম্যাচে ১৩ খানা উইকেট গিয়েছে তার পকেটে। এর মধ্যে লাহোর কালান্দার্সকে ফাইনালে তোলার পথে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেটও এসেছে তার ঝুলিতে। সে কারণে লাহোর ফ্রাঞ্চাইজি থেকে তিনি স্বর্ণালী আইফোন অবধি জিতেছেন।

ফাইনালের দিনটা গড়পড়তা কাটলেও, পুরো মৌসুম জুড়েই লাহোরের ভরসার পাত্রই ছিলেন রিশাদ হোসেন। টিম কম্বিনেশন আর কন্ডিশনের কারণে বেশ কিছু ম্যাচে একাদশে স্থান হয়নি তার। হয়ত সবগুলো ম্যাচ খেললে তার উইকেট ট্যালিতে নিশ্চিতরুপেই আরও বেশ কয়েকটি উইকেট যুক্ত হলেও হতে পারত।

তবে যতটুকু অভিজ্ঞতাই তিনি অর্জন করেছেন, তার ক্যারিয়ারে এগিয়ে যাওয়ার পথে এই অভিজ্ঞতা দারুণ রসদ হিসেবে কাজ করবে। প্রথম বিদেশি টুর্নামেন্টকে যতটুকু সম্ভব কাজে লাগিয়েছেন তিনি। জাতীয় দলেও একই ধারা বজায় রাখবেন তিনি- সে প্রত্যাশাই হয়ত করছে সকলে।

Share via
Copy link