রিশাদ হোসেন, বরিশাইল্লা ফরচুনের প্রতীক

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের যে কাজটা করার দরকার ছিল সেই কাজটা করে দিলেন রিশাদ হোসেন। পর পর দুই ওভার তাঁর দুই ছক্কায় ফরচুন বরিশালের নাম দ্বিতীয়বারের মত লেখা হয়ে গেল বিপিএলের শিরোপায়।

বরিশালের ফরচুন দুলছিল ঘড়ির কাটার সাথে পাল্লা দিয়ে। সেই দুুলুনির সাথে পাল্লা দিতে পারছিল না বড় বড় সব নাম। তখনই রিশাদ হোসেন আসলেন। এক নিমিষে হাসি এনে দিলেন ফরচুন বরিশালের।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের যে কাজটা করার দরকার ছিল সেই কাজটা করে দিলেন রিশাদ হোসেন। পর পর দুই ওভার তাঁর দুই ছক্কায় ফরচুন বরিশালের নাম দ্বিতীয়বারের মত লেখা হয়ে গেল বিপিএলের শিরোপায়।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১১ বলে করেন সাত রান। ১৯৫ রান তাড়া করতে নেমে রীতিমত অবিবেচক একটা ইনিংস। রিয়াদের মুখ লুকানোরও জায়গা ছিল না। ম্যাচ তখন চিটাগং কিংসের হাতের মুঠোয়।

কিন্তু, রিশাদ হোসেন যখন নামলেন এক ঝটকায় মাটির সাথে মিশিয়ে দিলেন সকল হিসাব নিকাশ। ছয়টা বল ক্রিজে থাকলেন। ১৮ রান করলেন। বিপিএলের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফাইনালের শেষ অংকটা লেখা হয়ে গেল তাঁর নামে। ব্যস, দ্বিতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল ফরচুন বরিশাল।

একই সাথে তামিম ইকবালও বিরাট সমালোচনার হাত থেকে বাঁচলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের পেস বোলিং অলরাউন্ডার জিমি নিশামকে। কিন্তু, ৮ হাজার ৬৮৯ কিলোমিটার থেকে এসেও বরিশালের একাদশে সুযোগ হল না জিমি নিশামের। তীরে এসে বরিশালের লঞ্চ ডুবলে সেই দায়টা তামিমকে নিতেই হত।

দায় থেকে বাঁচানোর জন্য তামিমের বড় একটা ধন্যবাদ প্রাপ্য রিশাদের। মোহাম্মদ নবীও ধন্যবাদ দিতে পারেন রিশাদকে। শেষ মুহূর্তে নবীর অভিজ্ঞতার চেয়ে রিশাদের কার্যকর পাওয়ার হিটিং-ই যে সবচেয়ে বেশি কাজে লেগেছে বরিশালের।

অথচ, পুরো আসর জুড়ে বল হাতে জ্বলে উঠতে পেরেছেন সামান্যই। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের সেরা টি-টোয়েন্টি বোলার ২০২৫ সালের বিপিএলের পুরোটা সময় ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে।

সবগুলো ম্যাচও পাননি। ফরচুন বরিশালের সাথে চুক্তিবদ্ধ বলে তাঁর যাওয়া হয়নি বিগ ব্যাশে। হোবার্ট হারিকেন্স তাঁর সাথে চুক্তি বাতিল করে দেয়। বল হাতে সেই জবাবটা মাঠে সামান্যই দিতে পেরেছেন। কিন্তু, ব্যাট হাতে যখন বরিশালের সৌভাগ্যের প্রতীক হয়ে রইলেন, তখন আর নিশ্চয়ই আক্ষেপ থাকার কথা নয় রিশাদের।

লেখক পরিচিতি

সম্পাদক

Share via
Copy link