ব্যাটিংয়ে আগের থেকে অনেক বেশি মনোযোগী রিশাদ হোসেন। সেখানে তাঁর সঙ্গী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টির আগে পাওয়ার হিটিংয়ে কোচের নিবীড় ক্লাস রুমে মনোযোগী ছাত্রের দায়িত্ব পালন করলেন রিশাদ।
রিশাদ এমনিতে ব্যাটার নন। তাঁকে ব্যাটার বানানোর চেষ্টাও করছে না বাংলাদেশ। কিন্তু, তাঁর সহজাত পাওয়ার হিট করতে পারার দক্ষতা আছে। সেটাই কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। সেজন্যই, টাইমিংয়ের ক্লাস নিলেন সালাহউদ্দিন।
সালাহউদ্দিন তাকে বাড়তি কিছু শেখাচ্ছেন না। বরং মূল ব্যাকরণে ঘষামাজা চলছে। ব্যাটিংয়ে শক্তি আছে রিশাদের, কিন্তু শটটা যায় না জায়গামতো। লং অন, মিড উইকেট, স্কয়ার—সবখানেই পেটানোর সক্ষমতা আছে। কিন্তু বাস্তবে তাল কাটে, কারণ শট খেলতে গেলে কোমড় আগেই সামনে চলে আছে।
তাই এখন ক্লাস চলছে দাঁড়িয়ে থাকা নিয়ে। ফ্রন্ট ফুটে আগে পশ্চার ধরে রাখতে হবে। শরীরের ভেতরের এই টাইমিং ঠিক থাকলে, বলে হিট করার ধরাপা বাড়বে। এই অনুশীলন রিশাদ করলেন নি:শব্দ মনোযোগে। টাইমিং ঠিক হলে, ব্যাটের সুইংটাও আগের চেয়ে বেশি কার্যকর হবে। পজিশন ঠিক থাকলে পাওয়ার বাড়বে।
টা ব্যাটিংয়ের ব্যাকরণ শেখার গল্প না। এটা হচ্ছে ব্যাটিং অনুভব করার গল্প। রিশাদ এখন বুঝছেন, টাইমিং শুধু পাওয়ার না, এটা পজিশনেরও খেলা। শুধু একটা প্রশ্ন বাকি—পরীক্ষায় নামলে রিশাদ কী তা প্রয়োগ করতে পারবেন?
উত্তরটা হয়ত শেষ টি-টোয়েন্টির জন্যই জমা রাখছেন রিশাদ, বোলিংয়ে এমনিতেই তিনি বাংলাদেশের এক্স-ফ্যাক্টর। এখন পাওয়ার হিটিংয়ে আরেকটু ধার বাড়লে তাঁকে আর আটকায় কে!