ডিজে রিশাদে থামলেন বিরাট

কোহলি হতভম্ব, ধীর পায়ে হাঁটতে শুরু করলেন। সাজঘরে ফেরার পথে দুবাইয়ের গ্যালারিতে তখন বাজছে — ‘ও ডিজে, ও ডিজে! একটা ঝাকানাকা গান বাজা!’

যখনই বোলিংয়ে আসেন লেগ স্পিনার, তখনই রাত হয় বিরাট কোহলি। সেটা হোক আদিল রশিদ কিংবা রিশাদ হোসেন। দুবাইয়েও সেই একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি। লেগ স্পিনের মায়াজাল বিছিয়ে সফল হল বাংলাদেশ।

যে নাম শুনলেই প্রতিপক্ষ শিবিরে শঙ্কার ছায়া নেমে আসে, যে নাম শুনলেই রান তাড়ার ম্যাচে প্রতিপক্ষের ঘুম হারাম হয়ে যায়—বিরাট কোহলি। একসময় চেজমাস্টার, রান তাড়ার রাজা, ইনিংস গড়ার শিল্পী। কিন্তু সময় বদলেছে। বিরাট কোহলি আর সেই অজেয় ব্যাটার নন। এখন তার বিরুদ্ধে একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করলেই আউট করা যায়।

বাংলাদেশও করেছিল সেই পরিকল্পনা। সাদা বলের ক্রিকেটে তাকে স্পিন জালে ফাঁসাতে হবে, বিশেষ করে লেগ স্পিনারের ঘূর্ণিতে! সাম্প্রতিক সময়ে এই জায়গাতেই সবচেয়ে বেশি ভুগছেন কোহলি। টিম ম্যানেজমেন্ট পরিকল্পনা সাজাল, বোলারও ছিলেন প্রস্তুত—নাম রিশাদ হোসেন!

দুবাইয়ের মাঠে বল করতে এলেন রিশাদ। উল্টোদিকে বিরাট কোহলি! লেগ স্পিনারদের বিপক্ষে সাম্প্রতিক রেকর্ড কোহলির পক্ষে নেই। ২০২৪-২৫ মৌসুমে লেগ স্পিনারদের বিপক্ষে ২৯ বল খেলে মাত্র ২১ রান করেছেন, ফিরেছেন তিনবার। রিশাদ এলেন সেই রেকর্ড আরেক ধাপ বাড়াতে! ফুলিশ ডেলিভারিতে লেট কাট করতে গিয়ে বল তুলে দিলেন সৌম্য সরকারের হাতে!

কোহলি হতভম্ব, ধীর পায়ে হাঁটতে শুরু করলেন। সাজঘরে ফেরার পথে দুবাইয়ের গ্যালারিতে তখন বাজছে — ‘ও ডিজে, ও ডিজে! একটা ঝাকানাকা গান বাজা!’

এই দুবাইয়ের মাটিতেই রিশাদের বিপক্ষে নয় বল খেলে মাত্র চার রান করেছিলেন বিরাট। সেই হতাশার গল্প আরও দীর্ঘ হলো। রিশাদের সামনে এবারও কোহলি ‘বিরাট’ হয়ে উঠতে পারলেন না। সময় বদলে গেছে। সেই পুরনো চেজমাস্টারকে আর দেখা যায় না। একসময় যিনি প্রতিপক্ষের বোলারদের চোখে চোখ রেখে ভয় ধরিয়ে দিতেন, আজ তাকে বধ করতে প্রতিপক্ষের বোলাররাই আগেভাগে ছক কষে রাখে!

Share via
Copy link