রিশাদ হোসেনকে কেন সাদা বলের ক্রিকেটে নিয়মিত খেলানো উচিৎ – সেটা আরেকবার বুঝতে পারল বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। এক ওভারে জোড়া আঘাত হানলেন যখন, তখনই শ্রীলঙ্কার মেরুদণ্ড চূড়ান্ত ভাবে ভাঙা হয়ে গেল। নিশ্চিত হয়ে গেল বাংলাদেশের জয়।
যত দিন গড়াচ্ছে রিশাদ হোসেন যেন ততই পরিণত হয়েছে উঠছেন। একজন লেগ স্পিনার যে শর্টার ফরম্যাট ক্রিকেটে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে পারেন, জরুরী সময়ে এনে দিতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ মোমেন্টাম সেটা রিশাদ হোসেন বুঝিয়ে দিচ্ছেন বারবার।
অধিনায়ক লিটন দাস যেমন এক বাক্যে স্বীকার করে নিলেন রিশাদই বাংলাদেশ দলের এক্স-ফ্যাক্টর, ‘রিশাদ বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে বড় ফ্যাক্টর। ও ভাল করলেই আমরা ম্যাচে থাকি।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একাদশ তম ওভারে প্রথম পাথুম নিশাঙ্কাকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেললেন। বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং, রিশাদ বুঝেছিলেন যে নিশাঙ্কা ডাউন দ্য উইকেটে আসতে চলেছেন, তখনই ফাঁদে ফেললেন তাঁকে, ভুল করেননি উইকেটরক্ষক লিটন দাস।
পরের উইকেটটা ফ্লিপার। নিজের বলে সহজ ক্যাচ তুলে নেন রিশাদ হোসেন। মাঝের এই ঝলকের পর আবার ইনিংসের শেষ বেলায় আবির্ভাব ঘটে তাঁর। সেখানে আবারও স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন শ্রীলঙ্কার শেষ ব্যাটারকে। ৮৩ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। এর চেয়ে বড় ব্যবধানে টি-টোয়েন্টিতে এর আগে মাত্র একটা মাচই জিতেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচে রিশাদ অনেক রকম বৈচিত্র আনার চেষ্টা করেছেন। ফ্লিপার, রঙ অন করেছেন। কখনও সফল হয়েছেন, কখনও হননি। তবে চেষ্টা তিনি থামাননি। রিশাদ নিজের মধ্যে নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ক্ষুধাটা বাঁচিয়ে রেখেছেন। এই ক্ষুধা যতদিন থাকবে, ততই ওপরের দিকে উঠবেন এই লেগ স্পিনার।