ফুটবল পায়ে ঋতুপর্ণা চাকমা ছুটে বেড়াচ্ছেন মাঠ জুড়ে। একেকটা দূরপাল্লার শট জালে জড়িয়ে মুগ্ধ করছেন। সেই ঋতুরই বাড়ি নির্মাণের কাজ আটকে আছে মন্ত্রণালয়ের টেবিলে রাখা কোনো এক ফাইলে।
রাঙামাটির প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে এসে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের হয়ে আলো ছড়াচ্ছেন ঋতুপর্ণা। সম্প্রতি নারী এশিয়ান কাপে মূল পর্বের টিকিট হাতে পেয়েছে বাংলার মেয়েরা। যার পেছনে ঋতুর রয়েছে অভাবনীয় অবদান।
এর আগেও দু’বার সাফ জয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। তাই তো এক সংবর্ধনায় প্রথমবার সাফ জয়ের পর জেলা প্রশাসন থেকে বাড়ি এবং রাস্তা নির্মাণের আশ্বাস দেওয়া হয় ঋতুকে।
তবে নানা বাধাবিপত্তি আসতে থাকে চারদিক থেকে। শেষমেষ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ভূমি বন্দোবস্তের অনুমোদনের অপেক্ষায় আটকে আছে সবকিছু।
নির্ধারিত জায়গা এখনও ঋতুর নামে করে দেওয়া হয়নি। ১৯৮৩ সাল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিশেষ অঞ্চল হিসেবে ব্যক্তি পর্যায়ে ভূমি বন্দোবস্ত বন্ধ রয়েছে। বিশেষ ক্ষেত্রে বন্দোবস্তের জন্য প্রয়োজন পড়ে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন।
এতেই যেন বিপত্তির শেষ নেই। অনেক হাতবদল হয়ে শেষ পর্যন্ত ওখানেই গিয়ে আটকে আছে ঋতুপর্ণার বাড়ি নির্মাণের শেষ ধাপ। তাই তো প্রশ্ন উঠে, যাদের পায়ের জাদুতে নতুন স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ, তাদের স্বপ্ন নিয়ে কেন এত অবহেলা!